
বয়স্কদের পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় এখন ভোগেন অনেক কমবয়সীও। ইউরিক অ্যাসিড মূত্রের স্বাভাবিক উপাদান। কিন্তু তার পরিমাণ যখন বেড়ে যায় শরীরের তখনই ঘটে যত গণ্ডগোল। সেই ইউরিক অ্যাসিড থিতিয়ে ক্রিস্টাল আকার নেয়। এর জেরেই অস্থিসন্ধি, গাঁটে ব্যথা-সহ একাধিক অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী করতে হবে, সে বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদনে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু কাদের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি? কোন ফ্যাক্টর দায়ী এর জন্য জানেন?
রোজকার ডায়েট ব্যালেন্স হওয়া জরুরি। ব্যালেন্সড ডায়েট অনেক রোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। কিন্তু অনেকেই আছে পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। খাসির মাংস, শেলফিস-সহ কয়েক ধরনের মাছে পিউরিন থাকে বেশিমাত্রায়। এই ধরনের খাবার দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়।
যাঁদের পরিবারে অতীতে ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যায় ভোগার ঝুঁকি রয়েছে। এর পাশাপাশি যদি স্থূলতার সমস্যা থাকে। তাহলে তো ঝুঁকি নিশ্চিতভাবে বেড়ে যায়।
কিডনির সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন এবং সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁদেরও ইউরিক অ্যাসিড মাত্রা বেড়ে সমস্যা হতে পারে। যাঁরা প্রচুর মদ্যপান করেন, তাঁদেরও এই সমস্যার ঝুঁকি বেশি। ডিহাইড্রেশন হয়েও ইউরিক অ্যাসিড অনেক সময় বেড়ে যায়। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।