
পেট পরিষ্কার রাখতে সেই প্রাচীন কাল থেকেই আয়ুর্বেদে ব্যবহার করা হয় ত্রিফলা। বহেড়া, আমলকী আর হরিতকী- এই তিন ফলের সংমিশ্রণে বানানো হয় বাজারে মূলত ত্রিফলা চূর্ণ হিসেবেই তা বিক্রি হয়। অনেকে আবার ক্যাপসুল কেনেন। এছাড়াও আজকাল জুসের আকারেও পাওয়া যাচ্ছে ত্রিফলা। ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রুখতে খুব ভাল কাজ করে এই ভেষজ। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা তাই সব সময় ত্রিফলার পক্ষে হয়েই সওয়াল করেন। এছাড়াও পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান থাকে এই ত্রিফলা চূর্ণের হাতেই। তবে লাইফস্টাইল কোচ লুক কন্টিহো ত্রিফলা খাওয়ার বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, বয়স্ক, অসুস্থ, কিশোর, শিশু, যুবক- সবাই খেতে পারেন এই ত্রিফলা। তবে এই ত্রিপলা খাওয়া শুরু করার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলছেন তিনি।
ত্রিফলার উপকারিতা
হজম শক্তি বাড়াতে ত্রিফলার জুড়ি মেলা ভার। সেইসঙ্গে ত্রিফলা ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। যে কোনও রকম সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ত্রিফলা খুবই ভাল। ত্রিফলা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে রোজ খেলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ত্রিফলা প্রাকৃতিক রেটকের কাজ করে। তাই পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া, ক্র্যাম্পের সমস্যা এবং বিভিন্ন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাতেও বেশ উপকারী। তবে ত্রিফলার এই সব উপকারের পাশাপাশি বেশ কিছু ক্ষতিকর দিকও কিন্তু রয়েছে। আর তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ত্রিফলা না খাওয়াই ভাল।
গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকারক- ত্রিফলা এমন একটি উপাদান যেখান থেকে রক্তপাতের সম্ভাবনা থেকে যায়। যে কারণে গর্ভাবস্থায় বা যাঁরা নিয়মিত স্তন্যপান করান তাঁদের ত্রিফলা খেতে মানা করা হয়। এছাড়াও রক্ত পাতলা করতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে ত্রিফলার।
কী ভীবে ব্যবহার করবেন ত্রিফলা
ত্রিফলার নির্দিষ্ট কোনও ব্যবহার বিধি নেই। পাউডার, জুস বা ক্যাপসুল যে কোনও ভাবে খেতে পারেন। আপনার যেমন সমস্যা সেই অনুযায়ী কিন্তু ত্রিফলা ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। তবে সব সময় খালি পেটে ত্রিফলা খাবেন। এই পরামর্শ বারবার দিয়ে আসছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াএ খাওয়ার আগে গরম জলে ভিজিয়ে নিন ত্রিফলা।
কারা একেবারেই খাবেন না
যাঁদের মৃগীর সমস্যা রয়েছে বা নিয়মিত ভাবে মৃগীর ওষুধ খান তাঁদের একেবারেই খাওয়া ঠিক নয়। যাঁদের জিন্ মিউটেশনের সমস্যা রয়েছে তাঁদেরও ত্রিফলা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিয়মিত ত্রিফলা খেলে গ্যাস, ডায়রিয়ার সমস্যাও হতে পারে। নিতান্ত যাদের ত্রিফলা সহ্য হয় না, তাদেরই এই সমস্যা বেশি হয়। অনেকের শরীর অধিক ডিক্সিফাইড হয়ে যায় ত্রিফলা খেলে। বমি বমি ভাব, শরীরে অস্বস্তি লেগে থাকে। তাঁরাও কিন্তু ত্রিফলা থেকে দূরে থাকবেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।