
গর্ভবতীদের মধ্যে গ্যাস অম্বলের ভয়ঙ্কর সমস্যা দেখা যায়। যেহেতু এই সময় অন্য কোনও ধরনের ওষুধ খাওয়া যায় না তাই, গ্যাস অম্বলের সমস্য়া ভীষণভাবে সমস্যায় ফেলে তাঁদের। কিন্তু কেন গর্ভাবস্থায় এই গ্যাস অম্বলের সমস্য়া বাড়ে তা জানা আছে? এর প্রতিকারই বা কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক…
গর্ভাবস্থায় কেন পেটে বেশি গ্যাস উৎপন্ন হয়?
প্রায়শই এই প্রশ্নটি থেকে যায় যে কেন মহিলারা গর্ভাবস্থায় বেশি গ্যাস অম্বলের সমস্যা হয়। এবিষয়ে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে হরমোন ক্ষরণে নানা পরিবর্তন হয়। এই হরমোনের পরিবর্তনগুলি স্বাভাবিকের চেয়ে মহিলাদের পরিপাক গ্রন্থিগুলিকে বেশি প্রভাবিত করে। এ কারণে শরীরে গ্যাস বেশি তৈরি হয়, ফলে সমস্যা তৈরি হয়।
সমস্যার ঘরোয়া প্রতিকার:
এই সমস্যা থেকে মুক্তির বেশ কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। কী সেগুলি? আসুন জেনে নেওয়া যাক…
তরল খাওয়া বাড়ান: গর্ভাবস্থায় তরল বা জল খাওয়া বাড়াতে হবে। শরীরে সঠিক পরিমাণে জল থাকলে খাবার ঠিকমতো হজম হয়। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের কমপক্ষে ১০ গ্লাস জল পান করা উচিত।
হাঁটা বা ব্যায়াম: গর্ভবতী মহিলার প্রায়শই পেট ফোলা বা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যআ থেকে মুক্তি পেতে হাঁটা বা ব্যায়াম করা উচিত। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। ফলে আর কোনও সমস্যা হয় না।
ফাইবারযুক্ত খাবার: গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ফাইবারযুক্ত ডায়েট রুটিন অনুসরণ করা উচিত। তবে অতিরিক্ত ফাইবারও কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য গ্রহণের সময় আঁশযুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম: বেশ কিছু গবেষণা অনুযায়ী মানসিক চাপের কারণেও শরীরে গ্যাস তৈরি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় মেজাজের পরিবর্তন ছাড়াও মানসিক চাপও থাকে। গর্ভবতী মহিলারা মানসিক চাপ কমাতে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। এই ব্যায়ামটি শুধুমাত্র শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।