
ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে রসুনের কোনও তুলনা নেই। রসুনের যেমন সুন্দর একটা গন্ধ রয়েছে তেমনই রসুনের অনেক গুণ রয়েছে। প্রায় সব ভারতীয় বাড়িতেই রসুন ব্যবহার করা হয়। তবে যাঁরা নিরামিষ খান তাঁরা রসুন খান না। রসুনের গন্ধ এতটাই সুন্দর হয় যে তা আমাদের মন ভাল করে দেয়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে, সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে রসুন। কোভিড পরবর্তী সময়ে মানুষ স্বাস্থ্য বিষয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। দিনের শুরুটাই তাই হয় স্বাস্থ্যকর খাবারে। কেউ গরম জলে মধু মিশিয়ে খান আবার কেউ এক কোয়া রসুন গরম জলের সঙ্গে খান। রোজ সকালে রসুন দিয়ে দিন শুরু করার অনেক রকম উপকারিতাও রয়েছে। আর তাই এই ৫ কারণে রোজ দু কোয়া করে রসুন অবশ্যই খান।
রসুনের মধ্যে ক্যালোরি একেবারেই কম। সেই সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। থাকে ভিটামিন বি ৬, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়ামের মত খনিজ। যে কারণে রসুন আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল সেই সঙ্গে শরীরে যথেষ্ঠ পরিমাণ পুষ্টিও থাকে।
রসুনের মধ্যে থাকে অ্যালিসিন সহ- একাধিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। রসুন খেলে ঠান্ডা কম লাগে, অন্য যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেকটাই কমে
রসুন হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে। শরীরে ভাল মন্দ দু রকম কোলেস্টেরলই থাকে। ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে কাজে আসে এই রসুন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রেখে হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। আর হার্ট ভাল রাখতে তাই রোজ রসুন খান
রসুনের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্ষতিকর কোষগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে। এছাড়াও সামগ্রিক স্বাস্থ্যয় বজায় রাখতে কাজে আসে রসুন। নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসার সহ-দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতেও কাজে আসে রসুন
রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুণ। যা শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ জনিত সমস্যা থেকে দূরে রাখে। আর রসুন আমাদের ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ব্রেকফাস্টেও রসুন রাখতে পারেন। এতেও কিন্তু কাজ হবেই।
তবে রসুন বেশি থাকলে অনেকেই সেই খাবার হজম করতে পারে না। অতিরিক্ত রসুন আমাদের শরীরে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই রোজ রসুন খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।