
দিনে দিনে বেড়েই চলেছে স্বাস্থ্য খাতে খরচের সীমা। রোজের ওষুধ থেকে হাসপাতাল বাবদ খরচ, টেস্ট আরও নানা সব কিছু মিলিয়ে এই খরচ উর্ধমুখীই। তাই বিশেষ করে হঠাৎ করে কোনও বড় অসুখ হলে সেই খরচ সামলানোর জন্য স্বাস্থ্য বিমা করিয়ে রাখার পরামর্শ দেন অর্থনীতিক থেকে বিশেষজ্ঞরা। এমনকি সরকারকেও বিমা করানোর উপরে বিশেষ নজর দিতে দেখা গিয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকারকেও নিজ উদ্যোগে বিমা করাতেও দেখা গিয়েছে। তবে সেটাই সব নয়।
বেসরকারি বিমা সংস্থাগুলির থেকে তাই বিমা করিয়ে রাখেন অনেকেই। কিন্তু মুশকিল হল অন্য জায়গায়। বছর বছর বেড়ে চলে স্বাস্থ্য বিমার অঙ্কের পরিমাণ। কিন্তু কেন এমন ঘটে? কেন দিন দিন বেড়ে চলছে স্বাস্থ্য বিমার খরচ? সেই উত্তর খুঁজতেই টিভি৯ বাংলা ডিজিটালের ডেপুটি এক্সজিকিউটিভ এডিটর নির্ণয় ভট্টাচার্য্য যোগাযোগ করেন এক বেসরকারি বিমা সংস্থার কর্তা পার্থনীল ঘোষের সঙ্গে। কী বললেন তিনি?
পার্থনীল বাবু জানান, প্রত্যেক বছর স্বাস্থ্য খাতের খরচ বেড়েই চলেছে। তিনি বলেন, “বিভিন্ন স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, প্রত্যেক বছর আমাদের দেশে মেডিকেল ইনফ্লেশন ১০-১২%। তবে প্রিমিয়াম বাড়ার হার অতটাও বেশি নয়। তবে কোনও ক্লেম হলে সেখানে বর্ধিত খরচের হার যে কোনও সংস্থাকে বহন করতে হয়।”
পার্থনীল বাবুর কথায়, ভারতে কোনও সংস্থাই স্বাস্থ্য বিমা করিয়ে বছরের শেষে লাভ করে না। কম বয়সে স্বাস্থ্য বিমা করালে তা অনেক বেশি টেকসই হয়, প্রিমিয়াম কম পড়ে এমনকি তার সেই বিমার সাম অ্যাসিউরড বেশি হয়, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্লেম অনেক পরে আসে। কিন্তু ভারতে বেশিরভাগ লোকই স্বাস্থ্য বিমা করান অনেক বেশি বয়সে গিয়ে। তাই প্রিমিয়াম বেশি পড়ে। বয়স বেশি হলে তাঁর ক্লেম আসার সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য বিমা সংস্থাগুলিকে বাণিজ্যিক দিকটিতেও খেয়াল রাখতে হয়। সাধারণ ভাবে যেখানে প্রত্যেক বছর দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫-৬% সেখানে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সেই ইনফ্লেশনের হার প্রায় দ্বিগুণ। তাই বিমার হার বাড়াতে হয়।