হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মাথাব্যথা অনেক বেশি হয়। মহিলাদের মধ্যে মাইগ্রেনের সমস্যা ছেলেদের তুলনায় প্রায় তিনগুণ। মাইগ্রেনের ব্যথা হলে তা অন্তত তিন-চার ঘন্টা স্থায়ী হয়। সেই সঙ্গে বমি ভাব বা বমি, যে কোনও রকম শব্দে অস্বস্তি, বিরক্তি এসবও লেগে থাকে। মাইগ্রেনের ব্যথা তিনদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাইগ্রেনের ব্যথা প্রথমে একদিকে শুরু হয়, এরপর তা শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকের মাইগ্রেনের ব্যথা এমনই হয় যে কানে যেন গুম গুম শব্দ শুনতে পান। তবে মাইগ্রেন খুব সাধারণ একটি সমস্যা। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশের মধ্যে এই সমস্যা রয়েছে। অনেকের পারিবারিক ইতিহাসে মাইগ্রেন থাকে আর সেখান থেকে মাথা ব্যথা হয়।
তবে মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যার প্রধান কারণ হল হরমোনের অসামঞ্জস্যতা। ইস্ট্রোজেন হরমেোনই একাদিক সমস্যার জন্য দায়ী। মাইগ্রেনের সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে এই ইস্ট্রোজেন। অনেক মহিলাকেই এখন পিরিয়ডের সমস্যার জন্য নিয়মিত ভাবে হরমোনের ওষুধ খেতে হয় আবার অনেকে আছেন যাঁরা অতিরিক্ত গর্ভনিরোধক পিল খান। তাঁদের মধ্যে মাইগ্রেনের সমস্যা অনেক বেশি। গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডি ২০১৯ অনুসারে, বিশ্বব্যাপী মাইগ্রেনের সমস্যা প্রধানত দেখা যায় ১৮-৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে। কোভিড পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা অনেক বেশি বেড়েছে। মাইগ্রেন থাকলে সেখান থেকে ডিপ্রেশন, মানসিক অস্থিরতা এই সব সমস্যাও আসে।
মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। মাইগ্রেনের সাধারণ কিছু লক্ষণ থাকে। রোদে বেরোলেই যদি মাথা ব্যথা করে, খিদে পেলেই মাথা ব্যথা করলে, মাথায় চাপ লাগলে, ঘুম ঠিকমতো না হলে সেখান থেকে মাথা ব্যথা হয়। মাই গ্রেনের ব্যথা বুঝতে পারলে উপেক্ষা করবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। যে সব নিয়ম তিনি মেনে চলতে বলবেন সেই ভাবে চলুন। কফি, চকোলেট এসব একেবারেই খাবেন না।