Indian Jujube: সরস্বতী পুজোর আগেই কুল খেয়ে ফেলেছেন? স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, জানুন
ছোটবেলা থেকেই বড়দের বলতে শুনেছি সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া মানা। একবার কুল খেলেই নাকি বাগদেবী ক্রদ্ধ হোন। আর তার জেরে নাকি সারা বছর পড়াশোনাই নয় না। রেজাল্টে তার প্রভাব পড়ে।
সামনেই সরস্বতী পুজো। মানে বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে আর বেশি দেরি নেই। সরস্বতীপুজো মানেই শাড়ি পড়ে স্কুলে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, ছেলেদের স্কুল থেকে মেয়েদের স্কুল পরিক্রমা করা, খিচুড়ি-লাবড়া খাওয়া। আরও আকর্ষণের হল কুল খাওয়া। ছোটবেলা থেকেই বড়দের বলতে শুনেছি সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া মানা। একবার কুল খেলেই নাকি বাগদেবী ক্রদ্ধ হোন। আর তার জেরে নাকি সারা বছর পড়াশোনাই নয় না। রেজাল্টে তার প্রভাব পড়ে। শীতকালেই এই টক-মিষ্টির ফলটির ফলন হয়। কাঁটাজাতীয় ঝোঁপের মত গাছ থেকে কুল পারা, কুলের চাট বানানো এ একটা সময় ছিল। কোভিডের কারণে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে অনেককিছুই হারিয়েছে। তবে তাদেরকে সরস্বতী পুজোর আমেজ আর আনন্দে মশগুল হতে প্রসাদে তো কুল রাখতেই হবে।
আপনি কি জানেন শীতকালে কুল কেন খাওয়া হয়, কী তার গুণ রয়েছে?
রোগ প্রতিরোধ- শীতকালে বিভিন্ন রকম ভাইরাস জনিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে কুলের জুড়ি মেলা ভার। এটি আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি হিসেবে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শিশুরা অসুস্থ হলে বা ইমিউনিটি হ্রাস পেলে কুল খাওয়া ভাল।
পুষ্টি- কুল একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। তাই এটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে এবং এখানে শর্করার পরিমাণ কম থাকায় কোনো ক্ষতি ছাড়াই ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে। এছাড়াও মস্তিস্ক ও স্নায়ুর পুষ্টি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য- শীতকালে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। শীতকালে শরীর শুকিয়ে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য লক্ষ্য করা যায় এর থেকে মুক্তি পেতে কুল একটি অত্যন্ত সাহায্যকারী ফল। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ- কুল মানবদেহে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। কুলে শর্করার পরিমাণ কম থাকায় এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। অনেক ডায়েটিশিয়ান কুল খাবার পরামর্শ দেন যারা ওজন কমাতে চান তাদের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কমলালেবুর তুলনায় এই কুলে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি রয়েছে। শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, চুলের খুশকি নির্মূল করতে, শীতকালে গ্লোয়িং ত্বকের জন্যও দারুণ ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। রয়েছে কম ক্যালোরি। কুলে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিস্যাকারাইড এবং ট্রাইটারপেনিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য, যা শরীরের অতিরিক্ত ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে ক্ষতিকে দূর করতে সক্ষম। যাদের ঠিকমতো ঘুম হয় না তারা কুল খেতে পারেন। কুল ঘুম হতে সাহায্য করে। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি কুল খান দেখবেন আপনার ঘুম ভালো হবে।
আরও পড়ুন: Myths around milk: দুধ খেলেই হজমে সমস্যা! দুধের পুষ্টিগুণ নিয়ে রয়েছে নানান ভুল ধারণা, সত্যিটা কী?