ওজন কমিয়ে ফিট থাকাটা এখন বেশিরভাগেরই লক্ষ্য। আর তাই সেই মত নিয়ম করে ডায়েট আর শরীরচর্চা এখন অনেকেই করছেন। লকডাউন, ওয়ার্ক ফ্রম হোম- সব মিলিয়ে ওজন বেড়েছে চড়চড়িয়ে। এছাড়াও বেশিরভাগকেই সারাদিন এক জায়গায় বসে কাজ করতে হয়। ফলে ওজনের আর দোষ কী! সে তো বাড়বেই। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হল খাওয়াদাওয়া। ব্যায়ামের আগে এবং পরে আপনি কী খান তাও গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু খাবার আছে, যা খেলে আপনি আরও ভালো ব্যায়াম করতে পারবেন। সেই সঙ্গে কমবে ওজনও।
ওয়ার্ক আউট শুরু করার আগে বেশিরভাগই ইষদুষ্ণ জল, ব্ল্যাক কফি বা খুব হালকা ব্রেকফাস্ট করেন। ওয়ার্ক আউট সেরে খান বেশি পরিমাণ প্রোটিন। এই ভাবেই একটা ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করেন। ওয়ার্ক আউটের আগে যদি একটিমটে নুন খেতে পারেন তাহলে ওয়ার্ক আউটটের জন্য আরও বেশি শক্তি পাবেন। সেই সঙ্গে ওজনও কমবে দ্রুত। শুনে অবাক লাগছে? নিয়ম মেনে যাঁরা ওয়ার্ক আউট করেন বা ডায়েট করেন তাঁদের নুন আর চিনি খুব মেপে খেতে বলা হয়। কারণ এসব খেলে ওজন বাড়ে। তবে পুষ্টিবিদ নিধি নিগম কিন্তু বলছেন উল্টো কথা। তাঁর পরামর্শ ওয়ার্ক আউট শুরু করার আগেই খান এক চিমটে নুন। এর একাধিক কারণও বলেছেন তিনি।
*শরীরের প্রয়োজনীয় জল ধরে রাখতে- নুন শরীরে জল ধরে রাখতে সাহায্য করে। ব্যায়ামের সময় প্রচুর ঘাম হয়। যে কারণে ডিহাইড্রেশন এড়াতে নুন খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। নুন শরীরে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। যা জিম করার সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ওয়ার্কআউটের সময় নুন শরীরে রক্ত চলাচল কম রাখে।
*আর ওয়ার্ক আউটের আগে নুন খেলে যেহেতু শরীরের রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকে তাই ওয়ার্ক আউট পরবর্তী পেশীর ব্যথাও সহজে এড়িয়ে চলা যায়। সেই সঙ্গে ক্র্যাম্প এবং পরবর্তী জয়েন্টে ব্যথাও তুলনায় অনেকটাই কম হয়।
*শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করে। যা জিম করার সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে শরীরের শক্তি বাড়ে। অন্যান্য সমস্যাও তুলনায় কম হয়।
*শরীরের তাপমাত্রা ব্যায়ামের সময় বেড়ে যায়। নুন এই বাড়তি তাপমাত্রাকেও কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখে। নুন হৃদস্পন্দন কমায়। সঙ্গে স্ট্যামিনা বাড়ায়। ফলে কার্ডিয়াক আউটপুটও ঠিকই থাকে।