স্থূলতার (Obesity) সমস্যা আজকাল সব বয়সেই ভীষণ ভাবে জাঁকিয়ে বসেছে। ওবেসিটির সমস্যা থাকলেই সঙ্গে আরও একাধিক সমস্যা আসে। যার মধ্যে হার্টের সমস্যা, ফুসফুসের অসুখ, হাঁপানি-এই সবসমস্যার কথাই বেশি শোনা যায়। অল্পেই বুকে হাঁপ ধরে (Lung Infection), হাঁটাচলায় সমস্যা। যে সব মহিলাতের তুলনায় আগে মেনোপজ হয় তাঁদের মধ্যেও যেমন এব রোগ-লক্ষণের ঝুঁকি বেশি থাকে তেমনই মেনোপজ পরবর্তী সমস্যার মধ্যেও কিন্তু আজকাল অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) এবং হাঁপানির ঝুঁকি বেড়েছে। সম্প্রতি দ্য নর্থ আমেরিকান মেনোপজ সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই সমীক্ষা। ধূমপান করলেই যে ফুসফুসের সমস্যা আসবে এমন কিন্তু একেবারেই নয়।
ওই গবেষণায় বরং আরও বলা হয়েছে, যে সব মহিলা ধূমপান করেন না বা ধূমপায়ীদের সংস্পর্শে আসেন না তাঁদের মধ্যে COPD (chronic obstructive pulmonary disease) এবং অন্যান্য ফুসফুস জনিত ব্যাধি অনেকটাই বেড়ে যায়। এমনকী পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে ফুসফুসের অসুখ অনেকটাই বেশি দেখা যায়। ৪৫-৫০ বছর মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা সবথেকে বেশি। কারণ হিসেবে বার বার উঠে এসেছে হরমোনের ভূমিকা। এছাড়াও, যে সব মহিলা ধূমপান করেন তাঁদেরও পরবর্তীতে অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ওজন বেশি হলে এই সমস্যা আসবেই। যে কারণে যাঁদের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি তাঁদের সব সময়ই হাঁপানির মত সমস্যা থেকে যায়। এছাড়াও মেনোপজ পরবর্তী সময়ে মহিলাদের ওজন বেড়ে যাওয়ারও প্রবণতা থাকে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিপাক ক্রিয়া বেশি (BMI) হলে এবং শরীরে মেদ জমতে শুরু হওয়া কিন্তু COPD-এর লক্ষণ। এই BMI এবং কোমরের পরিধি যত বেশি বাড়বে ততই COPD-এর ঝুঁকি বাড়বে। যাঁদের ওজন তুলনায় কম তাঁদের মধ্যেও যেমন ঝুঁকি থাকে আবার যাদের ওজন অতিরিক্ত বেশি তাঁদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এই সমস্যা। যে কারণে কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা হল প্রাথমিক শর্ত। যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা হল সুস্থ থাকার প্রাথমিক শর্ত।
শরীরে, পেটে মেদ জমলে শ্বাসনালীও সংকুচিত হয়ে যায় মহিলাদের। আর যে কারণে এই রকম সমস্যা বেশি আসে। COPD- এর সমস্যা রুখতে তাই প্রথম থেকেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এছাড়াও যাঁদের ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে তাঁদের মধ্যেও কিন্তু COPD- এর আশঙ্কা বেশি। যে কারণে ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে একেবারেই দূরে থাকতে হবে। পাশাপাশি গড়ে তুলতে হবে স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস। ফাইবার, ভিটামিন সমৃদ্ধ কাবার বেশি করে খান। নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস বজায় রাখুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Heart Disease: সাংসারিক কাজ কমাতে পারে বয়স্ক মহিলাদের হৃদরোগের ঝুঁকি! বলছে সমীক্ষা