World Asthma Day 2021: এই দিন পালনের গুরুত্ব কী? এর পিছনে রয়েছে কোন ইতিহাস? এবছরের থিমই বা কী?

Sohini chakrabarty |

May 04, 2021 | 11:03 AM

এবছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড অ্যাস্থমা ডে- র থিম হল 'Uncovering Asthma Misconceptions'। অর্থাৎ অ্যাস্থমা প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেসব মিথ বা ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে রয়েছে সেইসব দূর করা।

World Asthma Day 2021: এই দিন পালনের গুরুত্ব কী? এর পিছনে রয়েছে কোন ইতিহাস? এবছরের থিমই বা কী?
ছবি প্রতীকী।

Follow Us

আজ ৪ মে মঙ্গলবার ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাস্থমা ডে’। প্রতি বছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার এই দিনটি পালিত হয়। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর অ্যাস্থমা (GINA) এই দিনটি পালন করে থাকে। বিশেষ ভাবে অ্যাস্থমা ডে পালনের লক্ষ্য হল এই রোগের ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করা। কী কী করা উচিত আর কী কী করা একেবারেই একজন অ্যাস্থমা রোগীর পক্ষে খারাপ, সেইসবই বোঝানো হয় আজকের দিনটির মাধ্যমে।

ওয়ার্ল্ড অ্যাস্থমা ডে ২০২১- এর থিম 

এবছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড অ্যাস্থমা ডে- র থিম হল ‘Uncovering Asthma Misconceptions’। অর্থাৎ অ্যাস্থমা প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেসব মিথ বা ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে রয়েছে সেইসব দূর করা।

এই বিশেষ দিনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে প্রথমবার এই দিনের উদযাপন শুরু হয়েছিল। প্রথম বছর ৩৫টি দেশে ওয়ার্ল্ড অ্যাস্থমা ডে পালিত হয়েছিল। প্রথম মিটিং হয়েছিল স্পেনের বার্সেলোনায়। যেসব মানুষ অ্যাস্থমায় ভুগছেন, তাঁদের অবস্থার উন্নতির জন্যই বিশেষ ভাবে ‘অ্যাস্থনা ডে’ পালন করা শুরু হয়েছিল। ১৯৯৮ সালের পর থেকে অ্যাস্থমা প্রসঙ্গে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার এবং সঠিক বার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।

ওয়ার্ল্ড অ্যাস্থমা ডে পালনের প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব কী

২০১৮ সালের গ্লোবাল অ্যাস্থমা রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বজুড়ে প্রায় এক হাজার মানুষ প্রতিদিন মারা যান অ্যাস্থমার কারণে। প্রতি বছর ৩৩৯ মিলিয়ন মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এই রোগ। মূলত শিশুকাল থেকেই অনেকে এই সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার কারনে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় তারা।

আরও পড়ুন- আপনি কি জানেন অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ইমিউনিটি বাড়ায়?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ হু- ও জানিয়েছেন অ্যাস্থমা গণস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এক বড় শত্রু। বিশ্বের সব দেশেই হানা দিয়েছে এই রোগ। হু- এর মতে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন-মধ্যবত্তি দেশে অ্যাস্থমার প্রভাব সবচেয়ে বেশি। সেখানেই মৃতের সংখ্যাও হয় বেশি। তাই অ্যাস্থমার কারণে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে একজন সাধারণ মানুষ ঠিক কীভাবে নিজেকে সামলাবেন, সেই প্রসঙ্গে বার্তা দেওয়ার জন্যই এই বিশেষ দিন পালনের কথা ভাবা হয়েছিল।

Next Article