Yeast Infection & Pregnancy: গর্ভাবস্থায় কীভাবে এড়াবেন ইস্ট সংক্রমণের ঝুঁকি? জেনে নিন

ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে প্রায় ৭৫ শতাংশ মহিলার জীবনের কোনও না কোনও সময়ে ইস্ট ইনফেকশন হয়। তবে গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় বা ত্রৈমাসিকে এই ধরনের সংক্রমণ দেখা দেয়।

Yeast Infection & Pregnancy: গর্ভাবস্থায় কীভাবে এড়াবেন ইস্ট সংক্রমণের ঝুঁকি? জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় বেড়ে যায় ইস্ট সংক্রমণের সম্ভাবনা।

| Edited By: megha

Jan 07, 2022 | 12:14 PM

গর্ভবতী মহিলার শরীরকে দ্বিগুণ কাজ করতে হয় যাতে গর্ভে থাকা শিশু প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। এই কারণে এবং হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে, অনেক সময় মহিলাদের মধ্যে যোনি সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে প্রায় ৭৫ শতাংশ মহিলার জীবনের কোনও না কোনও সময়ে ইস্ট ইনফেকশন হয়।

তবে গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় বা ত্রৈমাসিকে এই ধরনের সংক্রমণ দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় যে ইস্ট ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দিলেও, তা গর্ভে থাকা শিশুর কোনও ক্ষতি করে না। তাই এই বিষয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে যোনিতে এই সংক্রমণ হওয়ার কারণে গর্ভবতী মহিলারা অস্বস্তি বোধ করেন।

ইস্ট সংক্রমণ কী?

মহিলাদের যোনিতে প্রথম থেকেই উপস্থিত থাকে ইস্ট। এটি হল এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া। আমরা সকলেই জানি যে গর্ভাবস্থায় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হয়। একই ভাবে যখন গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়  তা প্রভাব ফেলে এই ব্যাকটেরিয়ার ওপর। তখন যোনিতেও অতিরিক্ত পরিমাণে তৈরি হয় ইস্ট। যে কারণে যোনিতে পিএইচ স্তরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত আর্দ্র‌তার কারণে সাদা স্রাব নিঃসৃত হয়। হরমের পরিবর্তন ছাড়াও অনেক সময় গর্ভাবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিক বা স্টেরয়েড গ্রহণ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া কিংবা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে এবং যৌন সঙ্গমের কারণেও এই সংক্রমণ হতে পারে।

ইস্ট সংক্রমণের লক্ষণ

-গর্ভাবস্থায় ইস্ট সংক্রমণে আক্রান্ত হলে যোনি দিয়ে সাদা, হলুদ কিংবা সবুজ রঙের তরল স্রাব নিঃসৃত হয়।

-যোনিতে আঁশটে গন্ধ থাকা খুব স্বাভাবিক। অ্যাসিড ক্ষরণের কারণে এই গন্ধ হয়। কিন্তু তা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় তাহলে হতে পারে আপনি ইস্ট সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন।

-যোনিতে অস্বাভাবিকভাবে জ্বালাভাব, চুলকানি, ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

– অনেক সময় প্রস্রাব করার সময় ব্যথা এবং জ্বালাভাব অনুভূত হতে পারে। এই বিষয়ে খেয়াল রাখুন।

– যৌন মিলনের সময় ব্যথা, জ্বালাভাব এবং অস্বস্তি হলে হালকা ভাবে নেবেন না।

যদি আপনি গর্ভবতী না হন, তারপরেও যদি উপরিক্ত উপসর্গগুলির মুখোমুখি হন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কারণ গর্ভাবস্থায় এই সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকলেও যে কোনও বয়সের মহিলার এই সংক্রমণ হতে পারে।

কীভাবে এড়াবেন এই সংক্রমণ

ইস্ট সংক্রমণকে দূরে রাখার জন্য সব সময় হাইজিন মেনে চলুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। যোনি পরিষ্কার রাখুন এবং শুষ্ক রাখুন। যোনি পরিষ্কারের জন্য সব সময় ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন। গরম জল ব্যবহার করলে যোনিতে বিদ্যমান ইস্ট ব্যাকটেরিয়াগুলি সক্রিয় হয়ে যায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আপনি প্রয়োজনে লিক্যুইড সাবান কিংবা ইনটিমেট ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া নিয়মিত অন্তর্বাস পরিবর্তন করুন। সুতির অন্তর্বাস পরুন। টাইট-ফিট অন্তর্বাস পরিধান করবেন না। যৌন মিলনের সময় সর্তক থাকুন। আপনার সঙ্গীর কোনও রকম সংক্রমণ আছে কিনা সেই বিষয়ে সর্তক হয়ে যান। এবং তিনিও হাইজিন মেনে চলেন কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত থাকুন। এতে যোনির সংক্রমণ এড়ানো যায় সহজেই।

সাধারণ গর্ভাবস্থায় ইস্ট সংক্রমণ গর্ভে থাকা শিশুর ওপর কোনও প্রভাব ফেলে না। তবে যদি আপনার নরম্যাল ডেলিভারির সম্ভাবনা থাকে এবং প্রসবের দিন যদি এগিয়ে আসে তাহলে আরও এড়াবেন না এই ধরনের সমস্যা। কারণ নরম্যাল ডেলিভারিতে প্রসবের সময় শিশুর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এই ইস্ট সংক্রমণ।

আরও পড়ুন: নরম্যাল ডেলিভারিতে যাতে কোনও সমস্যা না আসে মেনে চলুন সহজ কয়েকটি উপায়…