কমবয়সিদের মধ্যে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন (STI)-এর প্রবণতা বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এসটিআই নিয়ে তাঁদের কাছে আসা রোগীদের বড় অংশ কমবয়সি। এর মধ্যে যেমন রয়েছেন যুবক-যুবতীরা। তেমনই রয়েছেন স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারাও। কম বয়সে যৌন ভাবে সক্রিয় হওয়া, একাধিক সঙ্গী থাকা, সুরক্ষা ছাড়াই যৌন মিলন এবং সুরক্ষিত মিলন সম্পর্কে সচেতনতার অভাবেই এই রোগের পরিমাণ বাড়ছে বলে মত চিকিৎসকদের। সমবয়সিদের আলোচনায় বা ইন্টারনেট থেকে গড়ে ওঠা ভুল ধারণাও তাঁদের ঠেলে দিচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ মিলনের দিকে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন বিভিন্ন রকমের হতে পারে। সিফিলিস, গনোরিয়া, এইচআইভি, হার্পিস, এইচপিভি, ক্ল্যামাইডিয়া মতো যৌনরোগ অসুরক্ষিত যৌনতার কারণে ছড়াতে পারে। নারী-পুরুষ উভয়েই এই সব রোগে আক্রান্ত হন। রোগভেদে লক্ষণের তফাত হয়। এই সমস্ত রোগের কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণও থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হল যৌনাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ডিসচার্জ, অসময়ে ভ্যাজাইনাল রক্তপাত, যৌনাঙ্গে ব্যথা, আলসার, র্যাশ বা লাম্প, মিলনের সময়ে ব্যথা, প্রস্রাবের সময়ে ব্যথা, কুঁচকির গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই এই সব কোনও লক্ষণই থাকে না।
উপরোক্ত লক্ষণ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করাতে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিও হতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে নারী-পুরুষের জননতন্ত্রে। এমনকি তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে অনেকই লজ্জার কারণে প্রথমে বিষয়টি চেপে যাচ্ছেন, যার জেরে সমস্যা গভীর হয়ে যাচ্ছে।
এসটিআই ঠেকাতে এবং তার চিকিৎসায় সচেতনতার কোনও বিকল্প নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। যৌনতা নিয়ে সামাজিক প্রেক্ষাপটের কিছু কিছু বদল ঘটলেও সুরক্ষিত যৌনতা নিয়ে সচেতনতার অভাব এখনও রয়েছে। এর জন্য খোলাখুলি কথা বলার পরিসর গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। অল্প বয়স থেকেই যৌনতায় জড়িয়ে পড়ার অসুবিধা নেই, অধিকাংশ অল্পবয়সির জ্ঞান নেই বলে আক্ষেপ চিকিৎসকদের। তাই রোগ এড়াতে সুরক্ষিত যৌনমিলনের দিকেও জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে মত চিকিৎসকদের।