Fatty Liver: মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ ছাড়ছে? উপেক্ষা নয়, ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ হতে পারে কিন্তু…
Warning Sign: নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি অ্যাসিডের লক্ষণগুলি প্রথমের দিকে বিশেষ বোঝা যায় না। তবে ক্লান্তি, পেটের অস্বস্তি, হাতের তালু লাল হয়ে যাওয়া, জণ্ডিস এইগুলি দেখা যায়।
বেশিরভাগ মানুষের ধারণা মদ্যপানই ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণ। কিন্তু সেটাই একমাত্র কারণ নয়। প্রথমত, ফ্যাটি লিভার দুই ধরণের হয়- অ্যালকোহলিক ও নন-অ্যালকোহলিক। এখান থেকেই স্পষ্ট যে মদ্যপান করলে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আবার মদ্যপান না করলেও বাড়ে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। যদিও এই ফ্যাটি লিভারের পিছনে দায়ী স্থূলতা, কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ।
নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি অ্যাসিডের লক্ষণগুলি প্রথমের দিকে বিশেষ বোঝা যায় না। তবে ক্লান্তি, পেটের অস্বস্তি, হাতের তালু লাল হয়ে যাওয়া, জণ্ডিস এইগুলি দেখা যায়। ত্বকের মধ্যেও কিছু পরিবর্তন দেখা যায়, যেগুলি দেখা বোঝা সম্ভব শরীরের মধ্যে বাসা বেঁধেছে ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো সমস্যা। এছাড়াও আপনার মুখের দুর্গন্ধ বলে দিতে পারে আপনি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত কিনা। এই উপসর্গ ‘breath of the dead’ নামে পরিচিত।
ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই লিভারের তার কাজ সম্পন্ন করতে পারে না। ফলত, লিভার সহজে রক্তকে ফ্লিটার করতে পারে না। এখান থেকেই তৈরি হয় শরীরে নানা জটিলতা। শরীরেও এতে সঠিকভাবে ডিটক্সিফিকেশন হয় না। শরীরের বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ও ভারী ধাতু দেহের অন্যান্য অঙ্গে জমা হতে থাকে। শ্বাসযন্ত্রও এখানে ব্যতিক্রম নয়।
ডাইমিথাইল সালফেট নামক একটি বিষাক্ত পদার্থ জমা হয় শ্বসনতন্ত্রে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই পদার্থ নিঃশ্বাসের মাধ্যমে নির্গত হয়ে বাতাসে মিশে যায়। এই বিষাক্ত পদার্থের কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। ফ্যাটি লিভারের কারণে মুখে যে দুর্গন্ধ হয় তা দীর্ঘস্থায়ী। সারাদিন ধরে এই গন্ধ বের হতে থাকে এবং এটা বাসি গন্ধের মতো হয়। এটি ফ্যাটি লিভার রোগের একটি সুস্পষ্ট লক্ষণ। কোনও ভাবেই এই লক্ষণটি উপেক্ষা করা উচিত নয়।
মুখে দুর্গন্ধ ছাড়াও রক্তপাত হয়, চামড়া হলুদ হয়ে যায়, পা ফুলে যায়, পেট ফুলে যাওয়ার মত লক্ষণগুলিও অনেক সময় ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ হতে পারে। তাই যদি নিঃশ্বাস দুর্গন্ধ যুক্ত মনে হয় তা হলে ফেলে না রেখে চিকিৎসকের কাছে যান। হতে পারে তা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। কিন্তু অন্য কোনও সমস্যাও হতে পারে। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত কিনা তা জানতে বিশেষ কিছু রক্তপরীক্ষাও থাকে। সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তবেই কিন্তু চিকিৎসক চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করেন। সেইমত ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ধরা পড়লে রোগীকে প্রথমেই অ্যালকোহলের অভ্যাস ছাড়ার কথা বলা হয়। এছাড়াও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, নিয়মিত শরীরচর্চা করলেও কিন্তু সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।