আহমেদাবাদ: ১০ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল ৪৫ বছরের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পর নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ধর্ষণে অভিযুক্ত শ্রমিকের কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি মাছ ধরার কাজ করেন। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের সঞ্জন শহরে। নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। অভিযোগ পেয়েই ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অত্যাচারিতা নাবালিকার দাদু অভিযুক্তকে প্রকাশ্য রাস্তায় কিছু দিন আগে অপমান করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই ঘটনার শোধ নিতেই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নাবালিকা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর বাড়ি থেকে স্কুল তিন-চার কিমোমিটার দূরে। রোজ সেই পথ পেরিয়ে স্কুলে যায় সে। বৃহস্পতিবারও সকাল ৯টায় স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। কিন্তু তার পর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফিরে না আসায় নাবালিকার পরিবারের লোকেরা খোঁজ শুরু করে। খোঁজ না পেয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। এর পর নিকটস্থ একটি জঙ্গল থেকে নাবালিকার নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। এর পর সামনে আসে ধর্ষণ করে খুনের বিষয়টি। পারিবারিক বিবাদের শোধ নিতেই এই ঘৃণ্য ঘটনা বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার দিন কয়েক আগেই আরও একটি শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল গুজরাতে। সে রাজ্যের সুরাটে ২ বছরের শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল ২ বছরের মেয়েটিকে। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল অভিযুক্তের ছবি। তাঁকে পরে পুলিশ গ্রেফতার করে।