
করোনার টিকাকরণে আজ ১০০ কোটির মাইলফলক পার করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার সেই সাফল্যকে স্মরণীয় করে রাখতেই আজ দেশের ১০০টি ঐতিহ্যবাহী সৌধকে জাতীয় পতাকার রঙের আলোয় সাজিয়ে তুলেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা পুরাতত্ত্ব বিভাগ। এর মধ্যে রয়েছে ১৭টি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। (ছবিতে আগ্রা ফোর্ট)

আলোয় সাজানো লালকেল্লা, কুতুব মিনার, ফতেপুর সিক্রি, নালন্দা, খাজুরাহো মন্দির, চার মিনার, চিতোর দুর্গ, গোলকোন্ডা দুর্গ সহ একাধিক সৌধ। এই তালিকায় আছে কলকাতার কারেন্সি বিল্ডিং এবং মেটকাফ হল। রয়েছে কোচবিহারের রাজবাড়িও। (ছবিতে চার মিনার)

দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে এখনও পর্যন্ত অতিমারির সঙ্গে লড়াও করে চলেছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী সহ প্রথম সারির যোদ্ধারা। এই লড়াইয়ে তাঁদের মধ্যে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। এই সামনের সারির যোদ্ধা এবং টিকাকরণে দেশবাসীর সহযোগিতাকে কুর্নিশ জানাতেই এএসআই-এর এই অভিনব উদ্যোগ। (ছবিতে চিতোর গড়)

আজ সকাল ৯টা ৪৮ মিনিটেই মাইলফলক পার করে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য টুইটে সেই খবর জানান। তিনি লেখেন, “আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই এই সাফল্য সম্ভব হল।” নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পালও বলেন, “দেশের সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও মানুষকে অভিনন্দন। যে কোনও দেশের জন্যই ১০০ কোটি টিকাকরণের লক্ষ্য়মাত্রা পূরণ করা সাফল্যের বিষয়, তবে ভারতে মাত্র টিকাকরণের শুরুর ৯ মাসের মধ্যেই এই লক্ষ্য়মাত্রা পূরণ করা হয়েছে।” (ছবিতে কোচবিহার রাজবাড়ি)

টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, “ইতিহাস গড়ল ভারত। আমরা ভারতীয় বিজ্ঞান, উদ্যোগ ও ১৩০ কোটি জনগণের মিলিত প্রচেষ্টাতেই ভারত ১০০ কোটি করোনা টিকার মাইলফলক পার করল। আমাদের দেশের চিকিৎসক, নার্স ও সমস্ত সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ, যারা এই লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করেছেন।” (ছবিতে লাল কেল্লা)

মঙ্গলবারই দেশের মোট টিকাপ্রাপ্তের সংখ্যা ৯৯ কোটিতে পৌঁছেছিল। তারপর থেকেই কেন্দ্রের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষও প্রহর গুনছিল সাফল্যের মুহূর্তের অপেক্ষায়। অবশেষে আজ, ২১ অক্টোবর সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলল দেশ। (ছবিতে নালন্দা)

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হয় করোনার গণটিকাকরণ কর্মসূচি। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই দেশের ১ কোটি মানুষ করোনার টিকা পান। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই দেশের বেশির ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়াই লক্ষ্য সরকারের। (ছবিতে কুতুব মিনার)