Operation Sindoor: ‘সিঁদুর অপারেশন শেষ হয়নি, চলছে…’, সর্বদলীয় বৈঠকে বড় বার্তা রাজনাথের

Operation Sindoor: গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। বেছে বেছে পরিচয় জেনে হামলা চালানো হয়। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা।

Operation Sindoor: সিঁদুর অপারেশন শেষ হয়নি, চলছে..., সর্বদলীয় বৈঠকে বড় বার্তা রাজনাথের
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকImage Credit source: ANI

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

May 08, 2025 | 2:02 PM

নয়াদিল্লি: মাত্র ২৫ মিনিটের অপারেশন সিঁদুর। আর এই ২৫ মিনিটের অভিযানেই ধ্বংস করা হয়েছে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। নিকেশ করা হয়েছে একশোর বেশি জঙ্গিকে। বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠকে জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিয়ান যে শেষ হয়ে যায়নি, সেই বার্তাও দিলেন রাজনাথ। এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধীরা জানিয়েছে, এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতীয় সেনার পাশে রয়েছে তারা।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাব দিয়ে বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে রাত ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলে। ২৫ মিনিটের অভিযানে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে পাকিস্তান সেনার কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি বলে সেনার তরফে গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়। পাকিস্তানের কোনও সাধারণ নাগরিকের উপরও আঘাত হানা হয়নি। এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে রাজনাথ জানান, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। জঙ্গিঘাঁটি যেমন গুঁড়িয়ে দিয়েছে, তেমনই একশোর বেশি জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে পাকিস্তান সেনা সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে। ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন বিনা প্ররোচনায় সীমান্তে গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান সেনা। ভারতের ১৫ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারান। এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে এই নিয়ে রাজনাথ বলেন, পাকিস্তান সেনা বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাচ্ছে। ভারতীয় জওয়ানরা উপযুক্ত জবাব দিচ্ছেন। ‘অপারেশন সিঁদুর’ শেষ হয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, “সিঙ্গুর অনগোয়িং অপারেশন। ভারত আরও অভিযান চালাতে চায় না। কিন্তু, পাক সেনা আক্রমণ করলে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।”

এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে রাজনাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের তরফে ছিলেন লোকসভায় তাদের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধীরা বলে, এই ইস্যুতে কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাকে তারা সমর্থন জানাবে। তাদের বক্তব্য, এখন প্রশ্ন তোলার সময় নয়। যখন প্রশ্ন তোলার সময় হবে, তখন প্রশ্ন তোলা হবে। কংগ্রেস বলে, এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থাকলে ভাল হত। মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, তাঁরা সবাই সরকারের সঙ্গে রয়েছেন।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF) নামে একটি জঙ্গি সংগঠন। তারা পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধীরা বলে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে টিআরএফের বিরুদ্ধে সুর চড়ানো হোক। বৈঠক শেষে কিরেণ রিজিজু বলেন, দারুণ বৈঠক হয়েছে। সব দল সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে।