জোর কা ঝটকা! মেঘালয়ে কংগ্রেসের ১৭ বিধায়কের ১২ জনই তৃণমূলে

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Nov 25, 2021 | 7:01 PM

Meghalaya: মেঘালয়ের (Meghalaya) ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়কের (Congress MLA) মধ্যে ১২ জনই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে (TMC)।

জোর কা ঝটকা! মেঘালয়ে কংগ্রেসের ১৭ বিধায়কের ১২ জনই তৃণমূলে
মুকুল সাংমার নেতৃত্বে ১২ বিধায়ক তৃণমূলে। ফাইল চিত্র।

Follow Us

দেশ: ফের উত্তর পূর্বের আরেক রাজ্যে জোর ঝটকা দিল তৃণমূল (TMC)। মেঘালয়ের (Meghalaya) ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়কের (Congress MLA) মধ্যে ১২ জনই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে (TMC)। যার ফলে মেঘালয় রাজ্যে বিরোধীর আসনে এখন তৃণমূল। আর কংগ্রেস শিবিরকে আরও একটি বড় ধাক্কা দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার (Mukul Sangma) নেতৃত্বে ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়কের ১২ জনই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ফলত, মেঘালয়ে প্রধান বিরোধীর আসনে এখন তৃণমূল। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস বিধায়করা ইতিমধ্যে বিধানসভার স্পিকারকে দলবদলের সিদ্ধান্তের কথা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, মেঘালয় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সাম্প্রতিক ভূমিকা, তাঁদের দল পরিচালনার ধরন নিয়ে অসন্তুষ্ট। এমনকি কিছুদিন যাবৎ, কংগ্রেসের অন্দরেই মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন বলে খবর। তার পরেই এল সাংমা সহ মেঘালয়ের ১২ কংগ্রেসের দলত্যাগের খবর।

জানা যাচ্ছে, মেঘালয়ে রাজ্যে তৃণমূলের এই ক্ষমতা সম্প্রসারণেও বড় ভূমিকা রয়েছে দলের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর। কারণ, তাঁর সঙ্গে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক বেশ ভাল। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই কলকাতা ঘুরে গিয়েছেন  মুকুল সাংমা। সেই সময়, তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে বড় ভূমিকা ছিল প্রশান্ত কিশোরের।

যদিও কিছুদিন আগেও তাঁর দলবদলের জল্পনা উড়ি দিয়েছিলেন সাংমা। তবে সূত্রের খবর, তিনি যে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন, সেটা বেশ কিছুদিন যাবৎ প্রকট হচ্ছিল। এখন সাংমার সঙ্গে সঙ্গে ১২ কংগ্রেস বিধায়কের তৃণমূলে যোগ দেওয়া ঘাসফুলের বড় চমক বলাই যায়।

এদিকে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে তৃণমূলের ক্ষমতা বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেল, যখন তৃণমূল সুপ্রিমো দিল্লিতে। বুধবারই একাধিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আবার এবার দিল্লি সফরে তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কোনও বৈঠক আছে কিনা, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে দৃশ্যতই রুষ্ট দেখায় তাঁকে। সাফ জানিয়ে দেন, দিল্লি এলে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তাছাড়া কংগ্রেস নেতৃত্ব এখন পঞ্জাব রাজ্যের ভোট নিয়ে ব্যস্ত বলে জানান তিনি।

ত্রিপুরায় সুস্মিতা দেবের মতো নেত্রী কংগ্রেস ছেড়েছেন। গোয়াতেও ক্ষমতা বাড়াচ্ছে তৃণমূল। তাছাড়া, কীর্তি আজাদের মতো নেতা যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। যদিও তাতে ভাঙলেও মচকাতে চাইছে না কংগ্রেস। অন্তত প্রকাশ্যে তারা তেমনটাই বোঝাচ্ছে। যেমন, এদিনই কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, কিছু নেতাকে তৃণমূল নিচ্ছে বটে, তবে এমন একটি নাটকে তাঁদের কিছু যায় আসে না। এতে কংগ্রেসকে দুর্বল করা যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায় “আমরা এই সব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না… কেউ যদি আমাদের দল থেকে লোক নিয়ে যায়, তাতে কিছু যায় আসে না। কেউ যদি ভাবছে যে তারা একদিন কংগ্রেসকে ধ্বংস করতে পারে, সেটা হওয়ার না। অনেকেই এর আগে এই ধরণের চেষ্টা করেছে।”

আরও পড়ুন: Tripura Police: ত্রিপুরায় সাংবাদিকের উপর হামলায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য জোরালো সওয়াল

Next Article