চেন্নাই: প্রতিনিয়ত সামাজিক অবক্ষয় হয়েই চলেছে। যৌন লালসা মানুষকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, তার ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। মাঝেমাঝেই এমন নির্মম ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে যা শুনে অনেকেই অবাক হয়ে যান। তবে ১২ বছরের কিশোরের যৌন লালসা যে এমন মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, তা হয়তো আন্দাজ করা যায়নি। তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) ঘটনা শুনে তাই অনেকে হতবাক হয়ে গিয়েছেন, অনেকে আবার কী বলবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। থাঞ্জাভুর সর্ব-মহিলা পুলিশ ১২ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত কিশোরের বিরুদ্ধে ১৭ বছর বয়সী এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে গর্ভবতী করার অভিযোগ রয়েছে। তামিলনাড়ুতে এই মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ধৃতের প্রটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স বা পকসো আইনে (POCSO) মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই দুই কিশোর কিশোরী স্কুলছুট ছিলেন এবং তারা একই এলাকায় থাকতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার দেওয়া বয়ানের ভিত্তিতে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবুও তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন যে এই নির্মম ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত রয়েছেন কি না। ১৭ বছর বয়সী ওই নাবালিকাকে পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানতে পারেন যে ওই নাবালিকা ৯ মাসের গর্ভবতী। সেই সময়ই হাসপাতালের পক্ষ থেকই পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়। সেই সময়ই তদন্তকারী দল নাবালিকার থেকে বয়ান নিতে হাসপাতালে পৌঁছেছিল। ঘটনার অনুসন্ধানের সময় ওই কিশোরের কথা বলে ওই নির্যাতিতা নাবালিকা। কিশোরকে গ্রেফতারের পর তাঁকে থাঞ্জাভুরের একটি হোমে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক রবিমতী জানিয়েছেন, “আমরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ছেলেটির বয়স নির্ধারণের চেষ্টা চালাচ্ছি।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাবা ও মা তাঁর গর্ভাবস্থার বিষয়ে কোনও কিছুই জানতেন না।
আরও পড়ুন Nitish Kumar: বিজেপি-জেডিইউর সোনার সংসারে ভাঙন? মুখোমুখি তেজস্বী-নীতীশ, রাজনৈতিক সমীকরণ বদলের জল্পনা