Witch Doctor: জ্বর সারাতে মহারাষ্ট্র থেকে কর্নাটকে বাবা-মা, তান্ত্রিকের পিটুনিতে মৃত্যু ছেলের
Witch Doctor: জ্বর সারাতে মহারাষ্ট্র থেকে কর্নাটকে নিজের ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলেন বাবা-মা। তান্ত্রিক দেখে বলে, 'অশরীরি' ভর করেছে। পিটিয়ে তাকে তাড়াতে হবে বলে কিশোরের উপর প্রহার শুরু করে। আর গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয় কিশোরের।
মুম্বই: জ্বরে ভুগছিল ১৪ বছরের ছেলে। কোনও কিছুতেই সারছিল না অসুখ। শেষে কিশোরের বাবা-মা তাকে এক তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যান। তান্ত্রিক জানান, তাঁর উপর প্রেতাত্মা ভর করেছে। আর কিশোরকে রোগমুক্ত করার উদ্দেশে তাকে বেধড়ক মারেন। আর গত ২০ মে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। এক সমাজকর্মী তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে এই গোটা ঘটনা সামনে আসে। মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার ঘটনা।
মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলরা কাভাথে মহানকালের বাসিন্দা ১৪ বছরের আর্য দীপক লাঞ্জে। অনেকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল সে। তারপর ছেলেকে কর্নাটকের শিরগুরে আপ্পাসাহেব কাম্বলে নামের এক তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যান কিশোরের বাবা-মা। কাম্বলে জানায়, ওই কিশোরের দেহে কোনও ‘অশরীরী’ ভর করেছে। আর একমাত্র মারধর করেই একে তাড়ানো যাবে। আর তান্ত্রিকের মার খেয়ে ওই কিশোর জখম হয়। তারপর শিরগুর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে সাংলিতে মিরাজ হাসপাতালে ছেলেকে ভর্তি করেন বাবা-মা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় আর্যের।
আর্যের মৃত্য়ুর খবর পেয়েই অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতির কর্মীরা কিশোরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। এই সমিতি সমাজ থেকে কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস দূর করার জন্য় কাজ করে। আর্যের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে গোটা বিষয় জানার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কাভাথে মহানকাল পুলিশ স্টেশনে অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা। অ্য়াসিসট্যান্ট পুলিশ ইনস্পেক্টর জিতেন্দ্র শাহানে জানান, তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ নম্বর ধারায় জ়িরো এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ঘটনা যেখানেই ঘটুক যেকোনও পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের হলে সেটি জ়িরো এফআইআর হিসেবে বিবেচিত হয়। তারপর সেই এফআইআর যথাযথ স্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অ্য়াসিসট্যান্ট পুলিশ ইনস্পেক্টর জানিয়েছেন, কর্নাটক পুলিশ এবার এই ঘটনার তদন্ত করবে।