মুম্বই: বৃষ্টি থামলেও বিপদ কাটেনি মহারাষ্ট্রের উপর থেকে। ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কোঙ্কন অঞ্চল ও রাজ্যের পশ্চিম ভাগে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪৯-এ। এরমধ্যে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে রবিবার। নিখোঁজ রয়েছেন এখনও শতাধিক মানুষ।
রবিবারই বন্যাদুর্গত অঞ্চলগুলি পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সেখানে তিনি জানান, শীঘ্রই ত্রাণ ঘোষণা করা হবে। আপাতত জেলাশাসকদের শুকনো খাবার, পানীয় জল, ওষুধ, জামাকাপড় ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী জোগাড় করতে বলা হয়েছে। যে জেলাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি, সেখানে আলাদা করে এনডিআরএফের দল পাঠানো হচ্ছে উদ্ধারকার্যের জন্য।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নারায়ণ রানেও রায়গঢ়ের তালিয়ে গ্রাম, যেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবথেকে বেশি, সেখানে পরিদর্শনে যান। রাজ্য সরকারকে দুষে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার কোথায়? রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা কোথায়? সাধারণ মানুষ এখন নিরুপায়, এ দিকে প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য করা হচ্ছে না।”
রাজ্য কন্ট্রোল রুম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রায়গঢ়েই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবথেকে বেশি। সেখানে এখনও অবধি ৬০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এরপরই রয়েছে সাতারা জেলা, সেখানে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বাড়ি ভেঙে ও ভূমিধসে ৫০ জন আহতও হয়েছেন। ১০০-রও বেশি মানুষ নিখোঁজ।
কৃষ্ণা নদীর জলে আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সাতারায় গতকালই রাস্তায় কুমির ঘুরতে দেখা যায়। জল কিছুটা নামতেই দেখা যায়, উল্টে গিয়েছে বহু যানবাহন। অন্যদিকে মুম্বইও সম্পূর্ণরূপে প্লাবিত। তবে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আজ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে। আরও পড়ুন: লোকসভার সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করতে চায় বিজেপি, টুইট কংগ্রেস সাংসদের