নাগপুর: পড়াশোনার থেকে বেশি মন সোশ্যাল মিডিয়া(Social Media)-তেই। বাড়ি থেকে বারংবার বারণ করা সত্ত্বেও, সেই কথা কানেই তুলত না বছর ১৫-র কিশোরী। সেই সোশ্যাল মিডিয়ার কারণেই তাঁর জীবনে নেমে আসল অন্ধকার। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পরিচয়, রাতারাতি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে কিশোরী। কিন্তু নাবালিকার সরল মনের সুযোগ নিয়েই তাঁকে যৌন শোষণ (Physical Assault) করে এক ব্যক্তি। তবে কাহিনির ইতি এখানে নয়। যৌন সম্পর্কের জেরে গর্ভবতী (Pregnant) হয়ে পড়ে কিশোরী। বাড়ির সদস্যদের মিথ্য়া কথা বলে দীর্ঘ নয় মাস গর্ভে সেই সন্তান ধারণও করে কিশোরী। এরপরে ইউটিউব দেখে বাড়িতেই নিজে নিজে প্রসব করে সন্তান। লোকলজ্জা থেকে বাঁচতে নবজাতককে খুনও করে কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাগপুরে। রবিবার বিষয়টি জানাজানি হয়। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত পুলিশও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ বছরের ওই কিশোরী যৌন শোষণের শিকার হয়েছিলেন। তার জেরেই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। সম্প্রতিই সে ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে বাড়িতে সন্তান প্রসব করে। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে, সমাজের নানা কটুক্তি-গঞ্জনা শুনতে হবে, এই ভয়ে কিশোরী নবজাতককে খুন করে এবং বাড়িতেই একটি বাক্সের ভিতরে দেহ লুকিয়ে রাখে। পরে কিশোরীর মা গোটা বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মি়ডিয়ার মাধ্যমেই ওই কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয় ওই ব্যক্তির। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়তেই ওই ব্যক্তি যোগাযোগ রাখা বন্ধ করে দেন। এদিকে, বাড়িতে নিজের গর্ভবস্থার কথা লুকোতে কিশোরী তাঁর মাকে বলে যে শারীরিক সমস্যার কারণে তাঁর পেট ফুলে গিয়েছে।
গোটা বিষয়টি গোপন রাখতেই ইউটিউবে ভিডিয়ো দেখে বাড়িতেই সন্তান প্রসব করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২ মার্চ বাড়িতেই সন্তান প্রসব করে। এরপরই সে নবজাতককে গলা টিপে খুন করে। একটি বাক্সের ভিতরে শিশুটির দেহ লুকিয়ে রাখে। যখন ওই কিশোরীর মা বাড়ি ফেরেন, তিনি কিশোরীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে চান। তখন কিশোরী গোটা ঘটনাটি খুলে বলেন। এরপরই তিনি মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ওই কিশোরীর বাড়ি থেকে নবজাতকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধি ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিশুটির ময়নাতদন্তের পর খুনের মামলা দায়ের করা হবে কিনা, তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।