নয়া দিল্লি: সবে মুদি দোকান খুলেছিলেন, দূর থেকে হেঁটে আসছিল এক কিশোরী। প্রথমে কোনও গ্রাহক বলে ভাবলেও, একটু সামনে আসতেই কিশোরীর মুখ দেখে চমকে উঠেছিলেন মহিলা। বিপদের আঁচও করেছিলেন তখনই, কিন্তু চিৎকার করার আগেই জ্যাকেটের পকেট থেকে বন্দুক বের করল কিশোরী। মহিলাকে লক্ষ্য করে চালাল গুলি (Firing)। এরপরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই কিশোরী। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বছর ৫০-র ওই মহিলাকে। তাঁর বয়ান অনুযায়ীই রাতে আটক করা হয় ওই কিশোরীকে। হামলার কারণ জানতে চাওয়া হলে, ওই কিশোরী যা জানাল, তাতে চমকে ওঠেন পুলিশ কর্মীরাও। অভিযুক্ত ১৬ বছরের কিশোরী জানায়, যে মহিলার উপরে সে গুলি চালিয়েছে, তাঁর ছেলে তাঁকে ধর্ষণ করেছে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেও, এখনও সুবিচার মেলেনি। তাই নিজেই বিচার করতে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় সে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী দিল্লিতে (Delhi)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ দিল্লির ভজনপুরা এলাকায় বছর ৫০-র এক মহিলার উপরে হামলা করে ১৬ বছরের এক কিশোরী। তিনি দোকান খুলতেই একটি পিস্তল নিয়ে চড়াও হয় কিশোরী। ওই মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কিশোরী, তারপরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন আশেপাশের দোকানী ও পথচারীরা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই মহিলাকে জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্য়ক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আটক করা হয় অভিযুক্ত কিশোরীকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওই কিশোরী জানায়, আহত মহিলার ছেলে তাঁকে ধর্ষণ করেছিল। তার প্রতিশোধ নিতেই মহিলার উপরে গুলি চালায় সে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ওই কিশোরী এক কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিল। অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা দুইজনেই প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় ভারতীয় দণ্ডবিধি ছাড়াও পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।