বেঙ্গালুরু: ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি, দুই দিন কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু শহরে ভারতের জি২০ সভাপতিত্বের অধীনে জি২০ দেশগুলির অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরদের প্রথম সম্মেলন হবে। এই বৈঠকটি যৌথভাবে পরিচালনা করবেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অর্থনীতি বিষয়ক বিভাগের সচিব অজয় শেঠ জানিয়েছেন, এই বৈঠকের আগে ২২ ফেব্রুয়ারি, জি২০-র অর্থ বিভাগ এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ডেপুটিদের একটি বৈঠক হবে। তিনি বলেন, “সমষ্টিগতভাবে অর্থনৈতিক স্তরে কঠিন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হয়েছে, তবে সামগ্রিক পরিবেশ কঠিনই রয়ে গিয়েছে। এই দুই দিনে আমরা আশা করি, অর্থমন্ত্রীরা এবং গভর্নররা ম্যাক্রো-অর্থনীতি থেকে শুরু করে বিস্তৃত সমস্যার সমাধান করবেন।”
অজয় শেঠ আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতিগুলির মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। জি২০ আলোচনার একটি প্রধান বিষয়ই হবে এই সমন্বয় সাধন। এই বৈঠকের পাশাপাশি তিনটি সেমিনারেরও আয়োজন করা হচ্ছে। তার একটি হবে ক্রিপ্টো কারেন্সির বিষয়ে ঐকমত গঠনের বিষয়ে। জি২০ দেশগুলির অর্থ বিভাগ এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ডেপুটিদের যে বৈঠকটি হবে, বুধবার তার উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি জি২০-র অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরদের যে বৈঠক হবে, সেখানে মোট ৭২টি প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। এর মধ্যে জি২০-র সদস্য দেশগুল্র অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর, আমন্ত্রিত সদস্যরা ছাড়াও আইএমএফ বা বিশ্বব্যাঙ্কের মতো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাগুলির প্রধানরাও অংশ নেবেন।
২৪-২৫ ফেব্রুয়ারী বৈঠকটি তিনটি অধিবেশনে ভাগ করা হয়েছে। একুশ শতকের বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক উন্নয়ন, ব্যাঙ্কগুলিকে শক্তিশালী করা, আগামী দিনের স্থিতিস্থাপক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই শহর স্থাপনের জন্য অর্থায়ন, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়া, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে। মূল বৈঠকের পাশাপাশি, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ক্রিপ্টো সম্পদের বিষয়ে নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সীমান্ত ব্যাতিরেতে জাতীয় অর্থপ্রদান ব্যবস্থার ভূমিকার মতো বিষয়গুলি নিয়ে বেশ কয়েকটি পার্শ্ব সভারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর এবং অন্যান্য প্রতিনিধিদের জন্য একটি নৈশভোজ এবং বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে ভারতের বৈচিত্র্যময় খাদ্যপদ এবং সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করা বিদেশি জন্য কর্ণাটকের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।