UP Madrasa: পায়ে শিকল বাঁধা মাদ্রাসার দুই পড়ুয়ার, অভিযোগ জানাতে নারাজ পরিবার

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

May 28, 2022 | 1:02 PM

UP Madrasa: পরিবারের দাবি, তাদের ছেলে মাদ্রাসা ছেড়ে পালাতে চেয়েছিল। তাই কোনও এফআইআর করতে চায় না তারা।

UP Madrasa: পায়ে শিকল বাঁধা মাদ্রাসার দুই পড়ুয়ার, অভিযোগ জানাতে নারাজ পরিবার
ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি

Follow Us

লখনউ: দিনের পর দিন চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হত দুই পড়ুয়াকে। তারা নাকি পড়াশোনা করে পালাতে চাইত। তাই তাদের আটকাতেই এই পন্থা নিয়েছিলেন মাদ্রাসার মউলানারা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে উত্তর প্রদেশের হরিয়ানায়। শুক্রবার ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। মাদ্রাসার মউলানার সাফাই ওই দুই কিশোর পড়াশোনা করতে চাইত না। তাই তাদের শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হত। তবে ওই মউলানার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মাদ্রাসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। উত্তর প্রদেশের গোসাইগঞ্জের শিবলরে ওই মাদ্রাসা চলত। অবৈধভাবে মাদ্রাসা চালানোর পাশাপাশি, পড়ুয়াদের ওপর নানা ধরনের অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার ওই দুই পড়ুয়া গ্রামে ফিরে আসে। একজনের বয়স ১৩ বছর, আর এক জনের বয়স ১৪। তাদের পায়ে শিকলের দাগ দেখা যায়। এই ছবি ছড়িয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুই কিশোর জানায়, তাদের পা বেঁধে রাখাই নয়, আরও অনেক অত্যাচার করা হত। স্থানীয় বাসিন্দারা ছবি তুলে পুলিশকে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে।

ওই দুই কিশোরের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তারা কোনও অভিযোগ জানাতে চায় না। তারা জানিয়েছে, দুই কিশোর নিজেরাই স্বীকার করেছে যে তারা পড়াশোনা করতে চাইত না। থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না। কিশোরের বাবাও থানায় গিয়ে জানিয়ে দেন তিনি কোনও অভিযোগ দায়ের করবেন না। তাঁর দাবি, দুই কিশোর আগেও একাধিকবার মাদ্রাসা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছে। তবে দুই কিশোরের দাবি, তাদের নৃশংসভাবে মারধর করা হত। পড়া না বলতে পারলে রীতিমতো অত্যাচার করা হত তাদের ওপর।

Next Article