লখনউ : দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনদিন এক জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে। দেওয়া হয়নি কোনও জল-খাবারও। চারজন ব্য়ক্তি মিলে লাগাতার তিনদিন ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ নির্যাতিতার। উত্তর প্রদেশের ঘটনা। শুক্রবার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই সপ্তাহের উত্তর প্রদেশের হারদোই জেলায় এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে।
নির্যাতিতা মহিলা পুলিশকে জানিয়েছে, তিনি বরেলি থেকে সাহারানপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ফারুখাবাদের একটি বাস টার্মিনাল থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। সেখান থেকে হারদোইতে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানেই লাগাতার ৩ দিন ধরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। নির্যাতিতার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের একটি টিম। সেখানে গিয়ে এই ঘটনার পিছনে অন্য এক কাহিনীর কথা জানান অন্য এক মহিলা। যেখানে নির্যাতিতা মহিলাকে তিনদিন আটকে রাখা হয়েছিল সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর এক মহিলা দাবি করেন, নির্যাতিতার আত্মীয় তাঁকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছেন।
এদিকে ফারুখাবাদ পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট অশোক কুমার মিনা বলেছেন, নির্যাতিতা মহিলা অভিযোগ করেছেন, ফারুখাবাদ বাস টার্মিনালে এসে অভিযুক্তরা কাপড় দিয়ে তাঁর মুখ ঢেকে ফেলে। সেই কাপড়ে ঘুমের ওষুধ মেশানো ছিল। ফলে সজ্ঞা হারান মহিলা। এসপি বলেন, ‘সজ্ঞা ফেরার পর মহিলা দেখেন তিনি একটি ঘরে পড়ে রয়েছেন। তারপর চারজন মিলে পালা করে তাঁকে ধর্ষণ করে। বাধা দিলে তাঁকে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘তিনদিন ধরে তাঁকে কোনও জল ও খাবারও দেওয়া হয়নি।’ তিনদিন পর কোনও ভাবে সেই বাড়ি থেকে পালাতে সক্ষম হন নির্যাতিতা। রাজেপুর পুলিশ স্টেশনের এসএইচও দীণেশ গৌতম জানিয়েছেন, শুক্রবার যখন চারজন ঘুমিয়ে পড়ে কোনওভাবে পালাতে সক্ষম হন নির্যাতিতা। তিনি বলেন, ‘সেখানে থেকে পালিয়ে ১২ কিলোমিটার হেঁটে বাহাদুরপুর গ্রামে এসে পৌঁছোন মহিলা। তারপর সেখানে গ্রামবাসীদের সাহায্য চাইলে তাঁরা পুলিশ স্টেশনে এসে খবর দেন।’ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। এসএইচও জানিয়েছেন, এদিকে সেখানে পৌঁছোতেই এক মহিলা দাবি করেন, নির্যাতিতার আত্মীয়ই ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাঁকে সেখানে ছেড়ে গিয়েছেন। এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে।