লখনউ: ট্রেনে ওঠার আগে অবধি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। কিন্তু ট্রেন ছাড়তেই বদলে গেল সবকিছু। চলন্ত ট্রেনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক মহিলা। তাঁকে সামাল দিতে যখন ব্যস্ত সবাই, সেই সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক বৃদ্ধ। একে একে এভাবে প্রায় জনা দশেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লেন। সাহায্য়ের জন্য ট্রেনে আরপিএফ ও রেল আধিকারিকরা এলেও, ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছে। ট্রেনেই মৃত্যু হল দুই যাত্রীর। অসুস্থ আরও কমপক্ষে ছয়জন। ট্রেনে যাত্রীদের রহস্যমৃত্যু ঘিরে তোলপাড় আগ্রা।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি রবিবার পটনা-কোটা এক্সপ্রেসে ঘটে। রেল আধিকারিকদের কাছে খবর আসে, ট্রেনে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে এবং আরও বেশ কয়েকজন অসুস্থ। এরপরই তড়িঘড়ি অসুস্থ যাত্রীদের আগ্রা স্টেশনে নামিয়ে রেলওয়ের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কীভাবে ওই যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়লেন এবং দুই যাত্রীর মৃত্যু হল, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
রেল সূত্রে খবর, অসুস্থ ও মৃত যাত্রীরা একইসঙ্গে সফর করছিলেন। ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরের মোট ৯০ জনের একটি দল পটনা-কোটা এক্সপ্রেসের এসি কামরায় সফর করছিলেন। হঠাৎ রেলওয়ে হেল্পলাইন নম্বরে একটি ফোন আসে, তাতে জানানো হয় ওই ট্রেনের এসি কামরায় কয়েকজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ট্রেন আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছলে চিকিৎসক যান। ৬২ বছরের এক বৃদ্ধা ও ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকি অসুস্থ যাত্রীদের মধ্যে পাঁচজনকে রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, একজন ভর্তি রয়েছে এসএন মেডিক্যাল কলেজে।
প্রাথমিক তদন্তে খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ডি-হাইড্রেশনের কারণে ওই দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হলেও, দেহের ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান উত্তর-মধ্য রেলওয়ের আগ্রা ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক প্রশাস্তি শ্রীবাস্তব।
জানা গিয়েছে, ওই রুটে একদল দুষ্কৃতী খাবার, বিশেষত মিষ্টিতে বিষ মিশিয়ে যাত্রীদের লুঠ করে। ‘জেহের খুরানি’ নামক ওই গ্যাংয়ের হাত রয়েছে কি না এই ঘটনার পিছনে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।