নয়াদিল্লি: পাইলটের সতর্কতায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হল দিল্লি বিমানবন্দরে। বিমানের চলাচল এবং ওঠানামা নিয়ন্ত্রণকারী এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-র এক আধিকারিকের ভুলে বুধবার দুপুরে বিপর্যয় ঘটতে চলছিল রাজধানীর বিমানবন্দরে। পাইলটের সতর্কতায় বিপদ থেকে রক্ষা পায় প্রায় ৩০০ যাত্রীর জীবন। তবে ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ডিরেক্টর জেনারাল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিস্তারা উড়ান সংস্থার একটি বিমান আহমেদাবাদ থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে। অবতরণের পর এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের তরফে পার্কিং বে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ওই বিমানকে। কিন্তু যে রানওয়ে ধরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেখানেই ছিল ওই উড়ান সংস্থারই অপর একটি বিমান। দিল্লি থেকে বাগডোগরাগামী সেই বিমানও রানওয়েতে টেক অফের জন্য প্রস্তুত ছিল। ওই বিমানকেও টেক অফের নির্দেশ এটিসি-র আধিকারিক দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু আহমেদাবাদ-দিল্লি বিমানের পাইলট সনু গিলের নজরে এসেছিল অপর বিমানটি। ৪৫ বছর বয়সী মহিলা পাইলট সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানিয়েছিলেন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে। তড়িঘড়ি তখন বাগডোগরাগামী বিমানকে টেক অফ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে টেক অফ না করে দাড়িয়ে যায় দিল্লি থেকে বাগডোগরাগামী ভিস্তারা উড়ানের ওই বিমান। ফের পার্কিং বে-তে ফিরে যায় ওই বিমান। এতে অবাক হন ওই বিমানের যাত্রীরা।
পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রানওয়েতে দুটি বিমানের মধ্যে দূরত্ব ছিল মাত্র ১.৮ কিলোমিটার বা ১৮০০ মিটার। দুটি বিমান আরও কাছাকাছি এলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটিসি-র আধিকারিকের মুহূর্তের ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ডিজিসিএ। দিল্লি এয়ারপোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, যখন কোনও বিমান ল্যান্ডিং বা টেক অফ করবে তখন কোনও যান চলাচল করবে না রান ওয়েতে। এ ক্ষেত্রে কী ভাবে সেই প্রোটোকল ভঙ্গ হল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।