Maoist vs Army: শাহের প্রতিশ্রুতিতেই নামল ২০ হাজার সেনা-পুলিশ! চারপাশ ঘিরে বনে-বনে চলছে অভিযান, পেলেই চলবে গুলি
Maoist vs Army: একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়েই এই অভিযান শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিজাপুরের ওই এলাকাতেই রয়েছে মাওবাদীদের মোস্ট-ওয়ান্টেড দুই কমান্ডর হিদমা ও দেবা।

রায়পুর: এটা কি তবে সেনার করা দেশের সব থেকে বড় অভিযান। ২০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী-সহ সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। ঘিরে ধরেছে চারপাশ থেকে। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। পালানোর জন্য নেই একটা ফাঁকও। কিন্তু কাদের ধরতে সম্মুখ সমরে নামলেন নিরাপত্তারক্ষীরা? কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, শাহের প্রতিশ্রুতি রাখতেই এই অভিযান।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে সূত্রে খবর, ছত্তীসগঢ়ে বিশেষ অভিযানে নেমেছেন বিশ হাজার নিরাপত্তারক্ষীরা। নিশানায় হাজার খানেক মাওবাদী। তাদের খতম করতেই তিন রাজ্য থেকে এসে ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরের মাও ডেরায় ভিড়েছে তারা। ঘিরে রেখেছে গোটা এলাকা। নেই একটা ফাঁকও। এই অভিযান শুরুর ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ৫ মাওবাদীকে খতম করা হয়েছে।
নিরাপত্তারক্ষীদের সূত্রে খবর, টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে টহলদারি চালাচ্ছে তারা। একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়েই এই অভিযান শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিজাপুরের ওই এলাকাতেই রয়েছে মাওবাদীদের মোস্ট-ওয়ান্টেড দুই কমান্ডর হিদমা ও দেবা। তাদের ধরতেই নেমেছে সারি সারি বাহিনী।
বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে ছত্তীসগঢ়-তেলেঙ্গনা সীমানায়। ঘিরে ফেলা হয়েছে, কাররেগুট্টা পাহাড়। এমনকি, ঘন জঙ্গলের বাধাকেও পেরিয়ে গিয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেখানেও দিচ্ছেন টহলদারি। এই অভিযানে অংশ নিয়েছে ডিআরজি, বাস্তার ফাইটার, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, তিন রাজ্য যথাক্রমে ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গনার সমস্ত পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর, দিন কতক আগেই মাওবাদীদের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে এসে পৌঁছেছে। সেখানে লেখা ছিল, ওই পাহাড় ও ঘন অরণ্যতে প্রচুর IED বসিয়ে রেখেছে তারা। যা খুঁজে বের করতেও এই অভিযান।





