নয়া দিল্লি: আত্মঘাতী হলেন দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির এক শেষ পর্যের ছাত্র। বিটেকের ওই ছাত্রটি তাঁর শেষ পরীক্ষাও দিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু, ফলাফল বের হওয়ার আগেই, শনিবার রাতে হোস্টে নিজের ঘরেই আত্মহত্যা করেন ওই ছাত্র। ২০ বছরের ছাত্রটির নাম আয়ুষ আশনা, বাড়ি উত্তর প্রদেশে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি আইআইটির উদয়গিরি ছাত্রাবাসের ঘরের সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ, কৃষ্ণগড় থানায় ফোন করে আয়ুষের আত্মধাতী হওয়ার খবর দিয়েছিলেন তাঁর সহপাঠীরা। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসেছিল দিল্লি পুলিশের একটি দল। আয়ুষের ঘর থেকে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে, দিল্লি পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাঁর ঘর থেকে কোনও ‘সুইসাইড নোট’ও উদ্ধার হয়নি। তাঁর বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর, আয়ুষ আত্মহত্যা করেছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত দিল্লি পুলিশ। তবে, সুইসাইড নোট না পাওয়ায়, ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু হল বা তিনি আত্মঘাতী হলেন, এই বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত জানাতে চায় না তারা। আয়ুষের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, “আয়ুশের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত চলছে।”
একদিন আগেই রাজস্থানের কোটা থেকে এক ১৭ বছর বয়সী ছাত্রের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গিয়েছিল। ওই ছাত্র আদতে উত্তর প্রদেশের রামপুরের বাসিন্দা ছিলেন। মাত্র দুই মাস আগে তিনি আইআইটি এবং জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষার কোচিং ক্লাস করার জন্য তিনি কোটায় এসেছিলেন। সেখানে এক বন্ধুর সঙ্গে এক বাড়িতে ‘পেয়িং গেস্ট’ হিসেবে থাকতেন। শুক্রবার, তাঁর বন্ধু শহরের বাইরে ছিলেন। আর সেই ফাঁকেই ওই ছাত্র তাঁর ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। এই মামলার তদন্ত করছে পুলিশ।
বস্তুত, ভারতে ক্রমেই শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। গত কয়েক মাসে বিভিন্ন রাজ্য থেকে একের পর এক ছাত্র-ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর এসেছে। গত এপ্রিলে আইআইটি মাদ্রাজের এক ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছিলেন। ২০ বছরের ওই ছাত্রের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছিল। কোট্টুরপুরম থানার পুলিশ জানিয়েছিল, প্রেমে ব্যর্থ হয়েই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ছাত্রটি। মার্চ মাসে একই প্রতিষ্ঠানে পিএইচডি কোর্সের এক ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছিলেন। মার্চেও আইআইটি মাদ্রাজে অন্ধ্র প্রদেশের এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছিল। একই মাসে আরেক ছাত্রও ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। তবে, সহপাঠীদের তৎপরতায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। ফেব্রুয়ারি মাসে, আইআইটি বম্বেতে এক ১৮ বছর বয়সী দলিতক ছাত্রও আত্মহত্যা করেছিলেন।