Supreme Court Of India: ২০১৪ সালের EPS সংশোধনী আইনে মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের, বাড়ল পেনশনে নথিভুক্তির মেয়াদও

Supreme Court Of India: কর্মীদের স্বস্তি দিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যেসব কর্মীরা এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেননি তাদের বাড়তি ৬ মাস সময় দেওয়া হবে।

Supreme Court Of India: ২০১৪ সালের EPS সংশোধনী আইনে মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের, বাড়ল পেনশনে নথিভুক্তির মেয়াদও
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 04, 2022 | 2:47 PM

নয়া দিল্লি: শুক্রবার এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court Of India)। এই রায়ে এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম ২০১৪-র (Employees Pension Scheme, 2014) সংশোধনীকে আইনি বৈধতা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে এই প্রকল্পের আওতাধীন বর্তমান সদস্যদের উদ্বেগের কথা মাথায় রেখে বেশ এই প্রকল্পের বেশ কয়েকটি বিধানের কথা উল্লেখ করেছে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন এবং কেন্দ্রীয় সরকার কেরল, দিল্লি ও রাজস্থান হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। ২০১৪ সালের সংশোধনীকে অবৈধ বলে বাতিল করে দিয়েছিল কেরল, দিল্লি ও রাজস্থান হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতনভোগীদের পেনশন প্রকল্পে যোগদানের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। ২০১৪ সালে সংশোধনে পেনশেনযোগ্য সর্বাধিক মাসিক বেতনের পরিমাণ ১৫ হাজার করা হয়েছিল। তার আগে পেনশনযোগ্য বেতনের পরিমাণ ছিল মাসিক ৬ হাজার ৫০০ টাকা।

কর্মীদের স্বস্তি দিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যেসব কর্মীরা এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেননি তাদের বাড়তি ৬ মাস সময় দেওয়া হবে। আদালত জানিয়েছে, যে সব কর্মীরা এই পেনশন প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে আগ্রহী কিন্তু, সময় শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তা করে উঠতে পারেননি, তাদের অতিরিক্ত সুযোগ দেওয়া হবে। ভারতীয় সংবিধানরে ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শীর্ষ আদালত এই সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুনানির সময় ইপিএফওর তরফে সিনিয়র আইনজীবী অর্যমা সুন্দরম এবং আইনজীবী রোহিনী মিশ্র সওয়াল করেছিলেন, কেরল হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দেওয়া হলে ইপিএস সম্পূর্ণভাবে ধসে যাবে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। ২০১৪ সালের সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, যাদের বেতন ১৫ হাজার টাকার বেশি তাদের অতিরিক্ত ১.১৬ শতাংশ টাকা এই প্রকল্পে জমা দিতে হবে। সেই অংশকে অবৈধ বলেছে শীর্ষ আদালত। আদালত নিজের রায়ে জানিয়েছে, বেতনসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর অতিরিক্ত টাকা প্রকল্পের জন্য কেটে নেওয়ার বিষয়টি কর্মীদের জন্য সমস্যার হতে পারে। তবে ইপিএসকে তহবিল তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য রায়ের এই অংশটি ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে রাখা হবে।