
লখনউ: স্বামী রয়েছে, তারপরও পরকীয়া। হাতেনাতে প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় স্ত্রীকে ধরেছিলেন স্বামী। আর তারপরই দিলেন চরম শাস্তি। বচসার মাঝেই রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন। ওই যুবতীকে নিয়ে সবাইকে ছুটতে হল হাসপাতালে।
গ্রামের ভিতরেই পরকীয়া। পাড়া-প্রতিবেশীদের থেকেই প্রথম আঁচ পেয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা রাম খিলওয়ান। স্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে বচসাও হয়েছিল তুমুল। দু-একদিন যেতে না যেতেই ফের একই কাণ্ড। স্বামীর আড়ালে ফের প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন বছর পঁচিশের যুবতী।
এদিকে, রাম খিলওয়ান আগেই আন্দাজ করেছিলেন যে স্ত্রী ফের প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে পারে। এই জন্যই কাজের অছিলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুটা দূরেই লুকিয়ে ছিলেন। স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হতেই তাকে অনুসরণ করেন। দেখেন, গ্রামেরই এক যুবকের বাড়িতে ঢুকছে স্ত্রী।
ওই যুবকের বাড়িতে চড়াও হতেই তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপরই শুরু হয় তুমুল বচসা। ঝামেলার মাঝেই আচমকা স্বামী স্ত্রীর নাক কামড়ে দেন। রীতিমতো কামড়ে নাক ছিঁড়ে নেন। যুবতীর আর্তচিৎকার শুনেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও।
আহত যুবতীকে প্রথমে হরদোই মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে লখনউয়ে স্থানান্তরিত করা হয়। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।