মাত্র চার ঘণ্টায় ২৬ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, অক্সিজেনের অভাব নাকি অন্য কিছু?
রাত ২ থেকে ভোর ৬ টার মধ্যে পরপর করোনা (COVID 19) আক্রান্তের মৃত্যু। পরের দিনই পিপিই কিট পরে হাসপাতালে ছুটলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)।
গোয়া: অক্সিজেনের (Oxygen) অভাবে দেশে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে। বিদেশ থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। কিন্তু করোনার (COVID 19) সুনামির মধ্যে সে সব প্রচেষ্টাই কার্যত ব্যর্থ হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশের পর এবার সামনে এল গোয়ার (Goa) ঘটনা। রাত ২টো থেকে ভোর ৬টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জন করোনা আক্রান্তের। মৃত্যুর কারণ জানতে হাইকোর্টের সাহায্যের দাবি জানালেন গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Health Minister)।
গোয়ার সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ২৬ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিয়েছে হাসপাতল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হলেও তার কোনও প্রমাণ মিলছে না। তাই গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিত রানে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চান। তিনি সংবাদমাধ্যমে স্বীকার করে নিয়েছেন যে সোমবার ওই হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব ছিল। তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত হোক হাইকোর্টের অধীনে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সোমবার ওই হাসপাতালে ১২০০ অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রয়োজন ছিল কিন্তু মাত্র ৪০০টি দেওয়া সম্ভব হয়। ওই হাসপাতালের পরিস্থিতি দেখার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে গোয়া সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তারা রিপোর্ট জমা দেবেন বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নীতিতে জরুরি বদল কেন্দ্রের, নির্দেশিকা সমস্ত রাজ্য সরকারগুলিকে
এ দিকে, এই ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালেই পিপিই কিট পরে গোয়ার মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত। রোগী ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অক্সিজেনের অভাব মেটানোর আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘রোগীদের চিকিৎসায় ব্যস্ত চিকিৎসকের পক্ষে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। ওয়ার্ড ভিত্তিতে অক্সিজেনের জোগান দিতে বৈঠক করব।’ সিলিন্ডারের অভাব না থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে সময়ে সেই সিলিন্ডার হাসপাতালে পৌঁছচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের একটি হাসপাতালেও একই রকম ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের আইসিইউতে ৫ মিনিট অক্সিজেন পরিষেবা বন্ধ হতেই প্রাণ হারান ১১ জন করোনা আক্রান্ত। সোমবার গভীর রাতে রুইয়া হাসপাতালে ঘটেছে এই ঘটনা। চিকিৎসকেরা ছুটে গিয়েও বাঁচাতে পারেননি রোগীদের।