Shraddha Murder Case: লিভ ইন পার্টনারের দেহ ৩৫ টুকরো, সংরক্ষণের জন্য নতুন ফ্রিজ কিনেছিল যুবক, দিল্লির ঘটনায় চাঞ্চল্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Nov 14, 2022 | 5:27 PM

Murder Case: বেশ কয়েকদিন ধরে ফোনে শ্রদ্ধার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না তাঁর পরিবার। এমনকী তাঁকে ফোন করা হলেও তাঁর ফোন বেজে যাচ্ছিল।

Shraddha Murder Case: লিভ ইন পার্টনারের দেহ ৩৫ টুকরো, সংরক্ষণের জন্য নতুন ফ্রিজ কিনেছিল যুবক, দিল্লির ঘটনায় চাঞ্চল্য
ফ্রিজে যখন জমানো শ্রদ্ধার দেহ, তখনও ডেটিং অ্যাপে আলাপ হওয়া তরুণীকে বাড়িতে ডেকেছিলেন আফতাব! এমন তথ্যও জানতে পারেন তদন্তকারীরা। ঠান্ডা মাথার খুনি নাকি মানসিক বিকারগ্রস্ত, কী বলা যায় আফতাবকে?

Follow Us

নয়া দিল্লি: দিল্লিতে একটি ভয়াবহ খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এক ব্যক্তি তাঁর লিভ ইন পার্টনারকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। শুধু খুনই নয় সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে তাঁকে দিল্লির মেহরলি জঙ্গলে পুঁতে ফেলা হয়েছে। ১৮ দিন ধরে মৃতদের পুঁতে ফেলার কাজ করেছে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে এই ঘটনার বিবরণ পাওয়ার পর চমকে গিয়েছেন অনেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রাত ২টো নাগাদ মৃতার দেহাংশ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে জঙ্গলে সেইগুলি পুঁতে রাখত অভিযুক্ত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আফতাব আমিন পুনওয়ালা নামের ওই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গী শ্রদ্ধাকে কুপিয়ে খুন করেছিল। মে মাসের ১৮ তারিখ দু’জনের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হওয়ার পরই শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। পুলিশ জানিয়েছে টুকরো টুকরো করা শ্রদ্ধা দেহ সংরক্ষণ করে রাখার জন্য একটি নতুন ফ্রিজও কিনেছিল আফতাব। খুনের পর ১৮ দিন ধরে সঙ্গীর মৃতদেহের বিভিন্ন অংশগুলি মেহরলি জঙ্গলের একাধিক জায়গায় পুঁতে রাখেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে ২৬ বছর বয়সী শ্রদ্ধা মুম্বইয়ে একটি বহুজাতিক সংস্থার কল সেন্টারে চাকরি করতে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আফতাবের আলাপ হয়। আলাপের পর একে অন্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন ওই যুগল। শ্রদ্ধার পরিবারের আফতাবের সঙ্গে তাঁর এই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় দু’জন পালিয়ে এসে দিল্লিতে থাকতে শুরু করেন। দিল্লির মেহরলিতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সেখানেই থাকতে শুরু করে ওই যুগল।

বেশ কয়েকদিন ধরে ফোনে শ্রদ্ধার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না তাঁর পরিবার। এমনকী তাঁকে ফোন করা হলেও তাঁর ফোন বেজে যাচ্ছিল। শেষমেশ বাধ্য হয়ে ৮ নভেম্বর শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন মেয়ের খোঁজে দিল্লি আসেন। ফ্ল্যাটে গিয়ে তিনি দেখে দরজায় তালা লাগানো। তখনও থানায় অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন শ্রদ্ধার বাবা। শ্রদ্ধার বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে আফতাব পুনাওয়ালাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে জেরা ও প্রতিবেশীদের থেকে খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে প্রতিনিয়ত শ্রদ্ধার সঙ্গে আফতাবের ঝামেলা লেগেই থাকত। তদন্তে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করতে চাইলেও আফতাবের আপত্তি ছিল। খুনের মামলা রুজু করে মৃতদের অবশিষ্ট অংশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Next Article