AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suicide: রাজস্থানের কোটায় কোচিং নিতে গিয়ে গত দু’দিন আত্মঘাতী ৩ পড়ুয়া

Suicide: রাজস্থানের কোটায় পিজি গতকাল দু'জন পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার আগেরদিনও এক পড়ুয়া হোস্টেলে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিল।

Suicide: রাজস্থানের কোটায় কোচিং নিতে গিয়ে গত দু'দিন আত্মঘাতী ৩ পড়ুয়া
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2022 | 9:23 AM
Share

কোটা: রাজস্থানের কোটায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এর মধ্যেই ঘটে গেল সর্বনেশে কাণ্ড। কোটায় পঠনরত তিন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছে পুলিশ। আত্মঘাতী দু’জন বিহারের বাসিন্দা। এবং বাকি একজনের বাড়ি মধ্য প্রদেশে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।

বিহারের সুপাউলের বাসিন্দা অঙ্কুশ আনন্দ (১৮) নিটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আর বিহারের গয়া জেলার বাসিন্দা ১৭ বছর বয়সী উজ্জ্বল কুমার জেইই-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। প্রস্তুতির জন্য় নিজেদের বাড়ি ছেড়ে রাজস্থানের কোটায় আসে তারা। জওহরনগর পুলিশ স্টেশনের অধীনে তালওয়ান্ডি এলাকায় একটি পেইং গেস্টে থাকত তারা। কিন্তু এত পরিশ্রম করেও সেই পরীক্ষায় শেষ পর্যন্ত আর দেওয়া হল তাদের। চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছে তারা। সোমবার সকালে ঘর থেকে তাজের পাখায় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। আর অন্যদিকে মধ্য প্রদেশের শিবপুরী জেলার বাসিন্দা ১৭ বছর বয়সী প্রণব বার্মা নিটের প্রস্তুতি নিতে এই রাজস্থানের কোটায় গিয়েছিল। সে কুনহারি পুলিশ স্টেশনের অধীনে হোস্টেলে থাকত। সে হোস্টেলের ঘরেই কোনও বিষাক্ত পদার্থ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ডিএসপি অমর সিং জানিয়েছেন, গত দু’বছর ধরে একই কোচিং সেন্টার থেকে নিজেদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল আনন্দ ও কুমার। সোমবার সকাল ১১ টার সময়ও তারা নিজেদের ঘরের দরজা খুলছিল না। তখনি সন্দেহ হয়। বাকি পড়ুয়ারা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেই পিজির কেয়ার টেকারকে গোটা বিষয়টি জানায়। তারপর পুলিশে খবর দিতেই তারা গিয়ে পিজির ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে। পুলিশ আধিকারিক জানান, তারা গিয়ে দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে তাদের দেহ ঝুলছে। তিনি জানিয়েছেন, রবিবার গভীর রাতে বা সোমবার সকালে তারা আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে। তাদের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

এক বর্ষীয়ান আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরে তারা নিয়মিতভাবে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল না। ফলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অন্যান্য় পড়ুয়াদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল তারা। তাল মিলিয়ে চলতে পারছিল না। সেই চাপ থেকেই এই চরম পদক্ষেপ তারা নিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে তাদের কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি।