ISI : সন্ত্রাসবাদী পরিকল্পনার ছক? ISI যোগের অভিযোগে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার ৩

ISIS : সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার ৩। তাদের ISI যোগ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

ISI : সন্ত্রাসবাদী পরিকল্পনার ছক? ISI যোগের অভিযোগে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার ৩
ছবি সৌজন্যে : ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 03, 2022 | 12:24 PM

হায়দরাবাদ : রবিবার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পরিকল্পনার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করল হায়দরাবাদ পুলিশ। আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (ISI) হয়ে শহরে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা করছিল তারা। গতকাল এই অভিযোগেই মুসারামবাঘ থেকে আব্দুল জ়াহেদ (৪০), সায়েদাবাদ থেকে মোহদ সামিউদ্দিন (৩৯) ও হুমায়ুন নগর থেকে মাজ় হাসান ফারুককে গ্রেফতার করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ।

হায়দরাবাদ পুলিশ কমিশনার সি ভি আনন্দ বলেছেন, ‘অভিযুক্তরা বিস্ফোরণ এবং একাকি হামলা সহ একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। পুলিশ তাদের কাছ থেকে চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৫,৪১,৮০০ টাকা নগদ ও একটি মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত করেছে।’ তিনি জানিয়েছেন, জ়াহেদ চারটি হ্যান্ড গ্রেনেডের চালান পেয়েছে। তার হায়দরাবাদে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল। কমিশনার বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছিল এবং মালাকপেট থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।’

পুলিশের দ্বারা সংগৃহীত প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, জ়াহেদ এর আগে হায়দরাবাদে ২০০৫ সালে হায়দরাবাদ সিটি পুলিশ কমিশনারের টাস্কফোর্সের অফিস বেগমপেটে আত্মঘাতী হামলা সহ এই শহরে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী হামলায় জড়িত ছিল। সে নিয়মিত ফারহাতুল্লাহ ঘুরি ওরফে এফজি, সিদ্দিক বিন ওসমান ওরফে রফিক ওরফে আবু হামজালা এবং আবদুল মজিদ ওরফে ছোটু নামের তিনজন আইএসআই-এলইটি (ISI-LeT) হ্যান্ডলারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত বলে জানা গিয়েছে। এই তিনজন আইএসআই হ্যান্ডলার সকলেই হায়দরাবাদের বাসিন্দা। বেশ কয়েকটি মামলায় তাদের খোঁজ করছে পুলিশ। তারা বর্তমানে যদিও পাকিস্তানে রয়েছে এবং আইএসআই-এর অধীনে কাজ করছে।

কমিশনার বলেছেন, ‘অতীতে তারা স্থানীয় যুবকদের নিয়োগ করে তাদের উগ্রপন্থী ভাবধারায় রূপান্তরিত করেছিল। তাদের দিয়ে ২০০২ সালে সাই বাবা মন্দির, দিলসুখনগরের কাছে বিস্ফোরণ, মুম্বাইয়ের ঘাটকোপারে বাস বিস্ফোরণ এবং ২০০৫ সালে বেগমপেটে টাস্ক ফোর্সের অফিসে বিস্ফোরণের মতো সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছিল। ২০০৪ সালে সেকেন্দ্রাবাদের কাছে গণেশ মন্দিরেও বিস্ফোরণের চেষ্টা করেছিল তারা।’ এদিকে জ়াহেদ স্বীকার করে নিয়েছে যে তার সঙ্গে এই তিনজনের যোগ রয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলেছেন, ‘তারা জাহেদকে হায়দরাবাদে পুনরায় সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য টাকা দিয়েছিল। পাকিস্তান ভিত্তিক হ্যান্ডলারদের নির্দেশে জ়াহেদ সামিউদ্দিন এবং মাজ় হাসানকে নিয়োগ করে।’ এই তিনজনকে কোর্টে তোলা হয়েছে। এবং তাদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের।