শ্রীনগর: দু’দিন আগেই জম্মুর (Jammu) উধমপুরে বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করেছিল জম্মু পুলিশ। নববর্ষের আবহে সন্ত্রাসবাদীদের বড় কোনও নাশকতার ছক ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। এরপর মঙ্গলবার সাত সকালে জম্মুতে নিরাপত্তা বাহিনী ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ের খবর মিলেছে। এই এনকাউন্টারে চারজন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আজ জম্মুর উপকণ্ঠে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ট্রাককে আটকায় তারা। সেই ট্রাকেই যাচ্ছিল সন্ত্রাসবাদীরা। তারপরই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায় সন্ত্রাসবাদীরা। নিরাপত্তা বাহিনী ও সন্ত্রাসবাদীদের এই গুলির লড়াইয়ে (Jammu Encounter) প্রাণ গিয়েছে ৪ জঙ্গির।
পুলিশ জানিয়েছে, এই গুলির লড়াইয়ে ট্রাকে আগুন লেগে যায়। আগুন নেভানোর জন্য দমকল বাহিনীকে ডেকে পাঠানো হয়। জম্মুর অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল মুকেশ সিং বলেছেন, “এলাকায় একটি ট্রাকের সন্দেহজনক গতিবিধি সম্বন্ধে খবর আসে। পুলিশ চেকপোস্টে সেই ট্রাকটিকে আটকায়। তারপর সেই ট্রাকে তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাকে উঁকি দিতেই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। তারপর পাল্টা গুলি চালানো শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। আর সকাল ৭ টার এই এনকাউন্টারে সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যু হয়েছে।
মুকেশ সিং জানিয়েছেন, এই ট্রাকের চালক কোনওভাবে পালিয়ে গিয়েছে। চারজন সন্ত্রাসবাদীই এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে। এই গুলির লড়াইয়ের পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। ট্রাক চালকের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবারই জম্মুর উধমপুরের কাছে বড়সড় নাশকতার ছক বানচাল করেছে জম্মু পুলিশ। সেখান থেকে প্রায় ১৫ কেজি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে পুলিশ। আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, বড় নাশকতার ছক নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বসন্তগড় এলাকা থেকে সিলিন্ডারের আকারে আইডি, ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম আরডিএক্স, সাতটি ৭.৬২ মিলিমিটার কার্তুজ ও পাঁচটি ডিটোনেটর উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে একটি পৃষ্ঠাও উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে সাংকেতিক ভাষায় লস্কর-ই-তৈবা (LeT) লেখা ছিল। এই হামলার পিছনে জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে আটকও করেছিল পুলিশ।