Haryana: মাঝরাতে ঘরে ঢুকে গণধর্ষণ তিন মহিলাকে, দেখতে বাধ্য করা হল পরিবারের সদস্যদের
Haryana rape: হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে। ওই তিন মহিলাই দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। বুধবার রাতে তাঁরা নিজেদের বাড়িতেই পরিবারের বাকিদের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা হানা দিয়েছিল চার অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষ।
চণ্ডীগঢ়: নারীশক্তির ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে মহিলা সংরক্ষণ বিলকে অনুমোদন দিয়েছে সংসদ। বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুপ্রিয়া সুলেদের মতো বেশ কয়েকজন মহিলা সাংসদ ভারতে মহিলাদের বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধের উল্লেখ করেছেন। একযোগে এই অপরাধ বন্ধের শপথ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু, এই ক্ষেত্রে ভারত যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই পড়ে রয়েছে। হরিয়ানার পানিপথে পরিবারের সদস্যদের সামনেই তিন মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল অজ্ঞআতপরিচয় কয়েকজন দৃষ্কৃতীর বিরুদ্ধে।
হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে। ওই তিন মহিলাই দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। বুধবার রাতে তাঁরা নিজেদের বাড়িতেই পরিবারের বাকিদের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা হানা দিয়েছিল চার অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষ। তাদের হাতে ছিল ছুরি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্রশস্ত্র। বাড়িতে ঢুকে পরিবারের বাকি সদস্যদের দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেছিল তারা। তারপর চারজনে পালা করে ওই তিন মহিলা শ্রমিককে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যদের সেই কুকর্ম দেখতে বাধ্য করা হয়। তারপর, তাদের বাড়িতে থাকা নগদ অর্থ ও গয়নাগাটি ছিনিয়ে নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে, ওই একই রাতে এক অসুস্থ মহিলার উপরও হামলা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। হামলার জেরে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। তার স্বামীর থেকে টাকা-পয়সা ছিনতাই করে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, এই ক্ষেত্রেও ওই দম্পতির বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়েছিল দুষ্কৃতীরা। স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই মারধর করা হয়। মহিলাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয়। মহিলা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে, তার স্বামীর কাছ থেকে কিছু নগদ অর্থ ও তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।
দুটি ঘটনা প্রায় একই জায়গায় হওয়ায় এবং দুটি ঘটনাই একই ধরনের হওয়ায় পুলিশের সন্দেহ, দুটি ক্ষেত্রেই একই দুষ্কৃতীরা জড়িত ছিল। পানিপথের মাতলাউদা থানায় দুটি ঘটনার বিষয়েই এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। স্টেশন হাউস অফিসার বলেছেন, “দুটি ঘটনাই একই গ্রামে ঘটেছে। তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।”