AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Women Priest: ট্রেনিং শেষে মিলল মন্দিরের পৌরহিত্যের শংসাপত্র, নজির তিন মহিলার

Women Priest: ডিএমকে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছিল সর্বপ্রথম। সব ধর্মের মানুষকে পৌরহিত্য করার ট্রেনিং দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল বছর কয়েক আগে। এরপরই এই তিন মহিলা পৌরহিত্য করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। অবশেষে শংসাপত্র পেলেন তাঁরা।

Women Priest: ট্রেনিং শেষে মিলল মন্দিরের পৌরহিত্যের শংসাপত্র, নজির তিন মহিলার
শংসাপত্র পেলেন তিন মহিলাImage Credit: twitter
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2023 | 10:13 AM
Share

চেন্নাই: চেনা ধ্যান-ধারণা থেকে ক্রমে বেরিয়ে আসছে সমাজ। যুদ্ধবিমানের ককপিট থেকে মন্দিরে পৌরহিত্য সবক্ষেত্রে পুরুষের একাধিপত্যের ধারণা কমে আসছে। পুজো থেকে আচার-অনুষ্ঠান, মহিলা পুরোহিত হিসেবে এখন স্বীকৃতি পাচ্ছেন অনেকেই। আর এবার এক নজিরবিহীন ঘটনা তামিলনাড়ুতে। রীতিমতো ট্রেনিং নিয়ে মন্দিরের পুরোহিত হতে চলেছেন তিন যুবতী। ঠিক যেভাবে চাকরি ক্ষেত্রে ট্রেনিং নিয়ে শংসাপত্র পাওয়া যায়, সেভাবেই তিন যুবতী এই কাজকে বেছে নিয়েছেন। আপাতত পুরোহিত হিসেবে কাজ শুরু করার অপেক্ষা করছেন তাঁরা।

ওই তিন যুবতীর নাম কৃষ্ণাবেনী, এস রাম্যা ও এন রঞ্জিতা। ট্রেনিং শেষে তাঁদের হাতে শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন তামিলনাড়ুর মন্ত্রী শেখর বাবু। শ্রীরঙ্গনাথর মন্দির থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন ওই তিনজন। ওই তিন যুবতী মনে করেন, তাঁদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বহু মহিলার জন্য দরজা খুলে দিয়েছেন। যাঁরা পৌরহিত্য করতে চান, তাঁদের অনেকেই উৎসাহ পাবেন।

২০২১ সালে ডিএমকে সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঘোষণা করা হয়েছিল, জাত নির্বিশেষে যে কেউ পৌরহিত্য করতে পারবেন। তার জন্য দেওয়া হবে ট্রেনিং। মহিলারাও আগ্রহী হলে ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরই ওই তিন যুবতী আগ্রহ প্রকাশ করেন ও ট্রেনিং-এ অংশ নেন।

বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর রাম্যা জানান, সরকার ওই ঘোষণা করার পরই পৌরহিত্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ট্রেনিং বেশ কঠিন হলেও হাল ছাড়েননি তাঁরা। এই সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকার ও গুরুকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। আর এক যুবতী কৃষ্ণাবেনী জানিয়েছেন, এই কাজ করলে দেবতা ও মানুষের একইসঙ্গে সেবা করা যাবে বলে মনে করেন তিনি।

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেন, “অবশেষে পরিবর্তন এসেছে। বিমানের চালক বা মহাকাশচারী হতে পারলে এই ভূমিকা থেকেই বা মহিলারা দূরে থাকবেন কেন? যেখানে মহিলা ভক্তদের আনাগোনা সেখানে মহিলাদেরকেই অপবিত্র বলে ধরে নেওয়া হবে কেন?” জানা গিয়েছে, ওই পূজার রীতি, মন্ত্র, ধর্মীয় বিধি- এসব শেখানো হয়েছে ওই ট্রেনিং-এ।