নাগপুর: চোখে জল, ফেসবুক লাইভে এসে বলেছিলেন কীভাবে ১৯ বছরের এক যুবতী ও তাঁর পরিবার ব্ল্যাকমেইল করছে। এরপরই নদীতে ঝাঁপ! মিথ্যা অভিযোগ এনে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, এই কথা বলেই আত্নহত্যা করলেন ৩৮ বছরের এক ব্যক্তি। ফেসবুক লাইভেই আত্নহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করেছে পুলিশ এবং মৃত ব্যক্তি যে যুবতীর নাম উল্লেখ করেছিল, তাঁর খোঁজ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত ১০ সেপ্টেম্বর। মণীশ নামক বছর ৩৮-র ওই ব্যক্তি বিবাহিত এবং তিন সন্তানও রয়েছে তাঁর। ১০ তারিখ তিনি ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, কাজল নামক ১৯ বছরের এক যুবতী ও তাঁর পরিবার ব্ল্যাকমেইল করছে। ৫ লক্ষ টাকা না দিলে, তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল বলে দাবি করেন ওই ব্যক্তি। ওই যুবতীর সঙ্গে কোনও শারীরিক সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই যুবতী বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল। এরপরই তাঁর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয় যে মণীশ নামক ওই ব্যক্তির সঙ্গেই পালিয়ে গিয়েছে তাঁদের মেয়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিস্তর ঝামেলা ও জলঘোলা হয়। গত ১০ তারিখ ফেসবুক লাইভে এসে মণীশ কাজল নামক ওই যুবতী, তাঁর পরিবার ও একজন ফটো স্টুডিয়োর কর্মীর নাম উল্লেখ করেন ওই ব্যক্তি। মৃত্যুর জন্য এরাই দায়ী, এই কথা বলেই নদীতে ঝাঁপ দেন মণীশ।
লাইভ ভিডিয়োটি সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ওই ব্য়ক্তির দেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আত্মহত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। কাজল নামক ওই যুবতীর খোঁজ চলছে।