গাড়ির ভিতর খেলছিল চার শিশু, হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় দরজা! হাত-পা ঝাপটে শেষ চারটি ছোট্ট প্রাণ
পুলিশ (Baghpat) জানিয়েছে, ওই পাঁচ শিশু এলাকাতেই এক বাড়ির সামনে দাঁড় করানো গাড়ির ভিতর ঢুকে খেলছিল।
উত্তর প্রদেশ: গাড়িতে বসে খেলছিল পাঁচ শিশু। দম আটকে গাড়ির ভিতরই মৃত্যু হল চারজনের। বরাত জোরে প্রাণে বাঁচল একজন। ভয়াবহ এই ঘটনা উত্তর প্রদেশের বাগপতের (Baghpat)। পুলিশ জানিয়েছে চারজনেরই বয়স দশের নিচে। গাড়িটি সেন্ট্রালি লক থাকায় শত চেষ্টা করেও বেরোতে পারেনি ছোট্ট প্রাণগুলি। হাত পা ঝাপটে গাড়িতেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে তারা। বাগপতের চণ্ডীনগরের সিঙ্গাউলিতাগায় শুক্রবারের এই ঘটনা শুনে শিউড়ে উঠছে গোটা দেশ। মৃতদের মধ্যে দু’জন ছেলে ও দু’জন মেয়ে রয়েছে। গুরুতর অসুস্থ পঞ্চম শিশুকে বাগপত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই পাঁচ শিশু এলাকাতেই এক বাড়ির সামনে দাঁড় করানো গাড়ির ভিতর ঢুকে খেলছিল। অটো লকের কারণে গাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে বন্ধ ছিল জানলাও। প্রচন্ড গরমে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। গাড়িতেই চারজনের মৃত্যু হয়। কপালের অসীম জোরে কোনওক্রমে রক্ষা পায় একজন। তবে সেও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। এই ঘটনায় গাড়ির মালিক রাজ কুমারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করবে বলে মৃতদের পরিবার জানিয়েছে।
4 children die due to suffocation after getting stuck inside a car in Baghpat district’s Chandinagar area
“Due to auto-lock, 5 children got stuck as they were playing inside a car. 1 child somehow escaped while 4 others died. Bodies sent for postmortem,” said MS Rawat, CO Khekra pic.twitter.com/3hWBHS1tOh
— ANI UP (@ANINewsUP) May 7, 2021
তবে বাগপতের খেকরা সার্কেলের ডেপুটি এসপি মঙ্গল সিং রাওয়াত বলেন, “এটা একটা দুর্ঘটনা। গাড়ির মালিকের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যোগের বিষয় নয়। প্রায় চার ঘণ্টা গাড়ির ভিতর আটকে ছিল ওই শিশুরা। দম আটকে মৃত্যু হয় তাদের। দেহগুলি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।” নিহতদের নাম দীপা (৮), অক্ষয় (৮), বন্দনা (৬) ও কৃষ্ণ (৪)। আট বছরের শিবাঙ্গ হাসপাতালে জীবনযুদ্ধে।
আরও পড়ুন: বন্ধ দোকানে দাউ দাউ আগুন, ক্ষতির হিসাব কষতে বসে কপালে হাত ব্যবসায়ীর
চিকিৎসাধীন শিবাঙ্গের বাবা প্রদীপ কুমার বলেন, “আমরা খুনের মামলা রুজু করতে চাই। কিন্তু পুলিশ গাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর নিচ্ছে না। আমরা ক্ষতিপূরণও দাবি করছি।”