নয়া দিল্লি: দুই বন্ধুর মধ্যে বিবাদ। সেই বিবাদের জেরে প্রাণ গেল ৪ বছর বয়সী এক শিশুর। বাবার উপর প্রতিশোধ নেওয়া হল সন্তানের উপর। কিছুটা এরকমই ঘটনা ঘটেছে আগ্রায়। বাবার সঙ্গে বিবাদ। সেই রোষানল থেকেই প্রথমে বন্ধুর ছেলেকে অপহরণ। তারপর সেই খুদেকে খুনও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিক।
অভিযুক্ত নিজে জানিয়েছে, ‘ভান্ডারা’-র সংগঠকের তালিকা থেকে নাম সরিয়ে দেওয়া নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্য বিবাদ শুরু হয়। সেই রোষ থেকেই শনিবার বন্ধুর ৪ বছরের ছেলেকে প্রথমে অপহরণ করে বান্টি। ছেলেকে দেখতে না পেয়ে তল্লাশি শুরু করে পরিবার। তল্লাশি অভিযানে নিজের বন্ধুকে সঙ্গও দিয়েছিল বান্টি। তিনি এমন ভাব করেছিল যেন সে বন্ধুর ছেলের অন্তর্ধান রহস্য সম্বন্ধে কিছুই জানে না। তারপর বান্টি নিজেই ছেলের হদিশ দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সে বলেছিল, একজন ‘বাবা’ তাকে জানিয়েছে কোথায় রয়েছে সেই খুদে। তারপরই সেই পরিবারকে এক জায়গায় নিয়ে যায় বান্টি। সেখান থেকেই খুদের দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধারের পরই ময়নাতদন্তের জন্য তা পাঠানো হয়। আর খুনের অভিযোগে বান্টিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আগ্রার ছাট্টার সার্কেল অফিসার সুকন্যা শর্মা বলেছেন, ‘শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। বাড়ির বাইরে খেলছিল ছেলেটি। সেই সময় অভিযুক্ত তাকে অপহরণ করে। অভিযুক্ত ব্যক্তি বান্টি (২৩)। অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই ছেলের বাবার বন্ধু।’ দু’জন আগে একসঙ্গে একটি কনফেকশনারিতে কাজ করতেন। সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, বন্ধুর উপর প্রতিশোধ তোলার জন্য তাঁর ছেলেকে অপহরণ করে খুন করেছে বান্টি। সার্কেল অফিসার আরও জানিয়েছেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত জানিয়েছে,তার ছেলের বাবার সঙ্গে কিছু সমস্যা ছিল তার। অতীতে একটি ‘ভাণ্ডারার’ সংগঠকের তালিকা থেকে বান্টির নাম সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার থেকেই মূল বিবাদের সৃষ্টি।’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বান্টি জানিয়েছে আগ্রায় এক ব্যক্তির থেকে দেশি পিস্তল ও কার্তুজ কিনেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বান্টি প্রথমে খুদেকে অপরহণ করে তারপর তার বুকে গুলি করে।