চকোলেটের লোভ দেখিয়ে ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে কুকীর্তি যুবকের, আবারও দিল্লিতে নাবালিকা ধর্ষণ
চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে বাচ্চা মেয়েটিকে জিন্স ফ্যাক্টরির ভিতরে ঢুকিয়ে নেয় দীপেশ। তারপরই সে ন্যক্কারজনক সেই ঘটনা ঘটায়।

নয়া দিল্লি: দলিত নাবালিকা ধর্ষণের স্মৃতি মোছার আগেই আবারও নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ উঠল রাজধানীতে। দিল্লির প্রসাদ নগর থানার সন্নিকটে মঙ্গলবারই এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বছর ২৫-এর যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই মঙ্গলবার ওই যুবককে ঘিরে ধরে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ জানিয়েছে, পকসো আইনে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবকের নাম দীপেশ। নির্যাতিতা নাবালিকার এলাকাতেই একটি জিন্স তৈরির কারখানায় সে কাজ করত। মেয়েটি মাঝে মধ্যেই খেলতে খেলতে ওই জিন্স কারখানার কাছে চলে যেত, এবং প্রায়ই ওই যুবক চকোলেটের লোভ দেখিয়ে তাকে ডাকত। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবারও একই ভাবে চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে বাচ্চা মেয়েটিকে জিন্স ফ্যাক্টরির ভিতরে ঢুকিয়ে নেয় দীপেশ। তারপরই সে ন্যক্কারজনক সেই ঘটনা ঘটায়।
ঘটনার পরই কাঁদতে কাঁদতে নাবালিকা মেয়েটি নিজের পরিবারের কাছে সব খুলে বলে। তৎক্ষণাৎ থানায় গিয়ে অভিযুক্ত দীপেশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার। এরপর পাড়া প্রতিবেশী মিলে তাকে গণপিটুনি দেওয়া শুরু হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই একই ধরনের আরেকটি নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা দিল্লির বুকে ঘটেছিল। যখন ৯ বছর বয়সের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, এবং জোরপূর্বক দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শ্মশানের এক পুরোহিত ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে এখনও বিরোধীরা আওয়াজ তুলছেন। তারই মাঝে নতুন করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল।
পুলিশ সূত্রে খবর, অগস্টের শুরুতেই ঘটা ওই ঘটনায় দলিত পরিবারের নাবালিকা দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের পুরানা নঙ্গল এলাকায় থাকত। ২ অগস্ট সন্ধ্যায় কাছেই একটি শ্মশান থেকে সে পানীয় জল আনতে গিয়েছিল। কিন্তু আর ফিরে আসেনি। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ এলাকার কয়েকজন নাবালিকার মা’কে ডেকে মেয়ের অর্থদগ্ধ দেহটি দেখান।
গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে শ্মশানের প্রধান পুরোহিত রাধেশ্যাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের দিকে। কিন্তু তাঁরা নাবালিকার মাকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করতে চাপ দেন বলে অভিযোগ। ময়নাতদন্ত হলে দেহের অঙ্গপ্রতঙ্গ চুরি করে নেওয়া হবে, এই ভয় দেখিয়ে কিছু টাকা দিয়ে নাবালিকার বাবা মায়ের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু চুপ থাকেননি নাবালিকার অভিভাবক। কিছুক্ষণে মধ্যেই প্রতিবেশীদের খবর দেওয়া হয়, তাঁরা ওই শ্মশান ঘিরে ফেলেন। পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিম জেলা পুলিশে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।প্রতাপ সিং নামের পুলিশের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানান, ২ অগস্ট রাত সাড়ে ১০ টা তাঁদের কাছে একটি ফোন আসে। তারপরই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশবাহিনী। আরও পড়ুন: উপনির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে বুধেই! মুখ্যসচিবের সঙ্গে বসতে পারে নির্বাচন কমিশন
