গাজিয়াবাদ: সামান্য কারণে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে এক ব্যক্তিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় থানার পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম বাবলু চৌধুরী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাবলু জমি বাড়ির দালালি করেন। গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরমের ৪৫ বছর বয়সী ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি বিগত ১০ বছর ধরে স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্রকে নিয়ে অনুকম্পা গ্রিন সোসাইটিতে থাকতেন। ওই একই সোসাইটির এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে বাবলুকে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এক অতি সামন্য ঘটনার একটি সতেজ প্রাণ চলে গেল। সোসাইটির এক বাসিন্দার সঙ্গে বাবুল বাকবিতণ্ডা থেকে এই খুন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সোসাইটির নিরাপত্তা কর্মী জানিয়েছেন, বুধবার রাত ১১টার সময় ওই সোসাইটির বাসিন্দা কে কে পান্ডে নামে এক ব্যক্তি তাঁকে জানান যে তার মোটর বাইকের তার ছিঁড়ে গিয়েছে। এবং এই ঘটনার জন্য তিনি বাবলুকে সন্দেহ করছেন। এই নিয়ে বাবলু ও পান্ডের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়া পরবর্তীকালে মারামারির আকার ধারণ করে। বাবলু স্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করলে পান্ডে তাঁকে ইট ছুড়ে মারে। ইটের আঘাতে আহত হন বাবলুর স্ত্রী।
স্ত্রীকে আক্রান্ত হতে দেখে পান্ডেকে তাড়া করেন বাবলু। পান্ডের বাড়িতে পৌঁছে তাঁকে কাছে জবাবদিহি করেন বাবলু। সেখানে বাবলুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পান্ডে। ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুকিয়ে পড়েন বাবলু। সোসাইটির অন্যান্য বাসিন্দারা বাবলুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত কে কে পান্ডে নামে ব্যক্তি ফেরার। বাবলু স্ত্রীয়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে পূর্ব-শত্রুতার কোনও ইতিহাস আছে কি না , তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।