BJP Chief Minister: মাত্র ৬ মাসে চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা! বিজেপিতে হচ্ছেটা কী?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Sep 11, 2021 | 6:44 PM

BJP Chief Minister: সূত্র জানাচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই নেতৃত্বকে নতুন রূপ দিতে রূপাণীদের চেয়ার ছাড়তে হয়েছে।

BJP Chief Minister: মাত্র ৬ মাসে চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা! বিজেপিতে হচ্ছেটা কী?
মাত্র ৬ মাসে একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই নিয়ে চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রী (BJP Chief Minister) পদত্যাগ করেছেন

Follow Us

কলকাতা: বিজয় রূপাণী, বিএস ইয়েদুরাপ্পা, তিরথ সিং রাওয়াত, ত্রিবেন্দ্র রাওয়াত।

মাত্র ৬ মাসে একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই নিয়ে চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রী (BJP Chief Minister) পদত্যাগ করেছেন, বা বলা ভাল যে তাঁদের ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। শনিবারের আগে পর্যন্ত এমন মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যা তিন ও রাজ্যের সংখ্যা দুই ছিল। গত কয়েক ঘণ্টায় সংখ্যাটা বেড়ে চার ও তিন হয়ে গিয়েছে। কারণ, আগাম কোনও ইঙ্গিত ছাড়াই আচমকা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিজয় রূপাণী। যা সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নতুন কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিজেপিতে হচ্ছেটা কী?

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘরের মাঠে (গুজরাট) বিধানসভা ভোটের বছরখানেক বাকি থাকতেই রূপাণী পদত্যাগ করায় এই প্রশ্নটা আরও বেশি করে উঠছে। তবে সূত্র জানাচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই নেতৃত্বকে নতুন রূপ দিতে রূপাণীদের চেয়ার ছাড়তে হয়েছে। অন্তত গুজরাট ও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বদলের নেপথ্যে ভোটের অঙ্ক রয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

২০২২ সালে বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গুজরাট এবং উত্তরাখণ্ডে। তার পরের বছর নির্বাচন কর্নাটকে। এই তিন রাজ্যের নেতৃত্ব দিয়ে কয়েক বছর যাবৎ দলের অন্দরেই অসন্তোষ দানা বাঁধছিল বলে খবর। ক্ষোভের আঁচ দিল্লি পর্যন্তও পৌঁছে গিয়েছিল অচিরেই। তারপরই দলের শীর্ষ নেতৃত্বই মুখ্যমন্ত্রীদের সরে যাওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। যা মেনে নিয়ে প্রথমে ইয়েদুরাপ্পা ও এ বার রূপাণীও আসন ছাড়লেন।

উত্তরাখণ্ডের বিষয়টি অবশ্য অন্যরকম ছিল। ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী পদে এলেও শপথ নেওয়ার মাত্র ৪ মাসের মধ্যে কুর্সি ছাড়তে হয় তিরথ সিং রাওয়াতকে। তাঁর ৪ মাসের মেয়াদই ছিল বিতর্কে ঘেরা। সেই কারণে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি বিজেপি।

উত্তর প্রদেশের মাঝে একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে যোগী আদিত্যনাথ সরকার রীতিমতো নাকানিচোবানি খায়। যার পরেই যোগীর তলব আসে দিল্লি থেকে। এক সময় মনে হচ্ছিল, যোগীর বিকল্প খোঁজা শুরু করে দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমনটা হয়নি। তবে এখনও বিজেপিরই বহু বিধায়ক দলের বিরুদ্ধেই অসন্তুষ্ট রয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুন: Bhawanipur Bypoll: বুথপ্রতি দু’জন করে এজেন্ট! তৃণমূলের চেনা ছকেই মমতাকে ফাঁদে ফেলতে চায় বিজেপি

২০২৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখা, এটা বিজেপি ভাল মতো জানে। তাই ক্ষমতায় থাকা রাজ্যগুলি কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে চায় না গেরুয়া শিবির। আর সেই স্বার্থেই রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বে বদল আনা হচ্ছে যাতে নতুন মুখ, নতুন উদ্যম প্রকাশ পায়। এবং ক্ষমতা ধরে রাখার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা যায়।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘ওঁর কানে সারাজীবন হারের যন্ত্রণা বাজবে,’ ফের মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

 

Next Article