হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদে এক নামী বিরিয়ানির দোকানে রবিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল। বিরিয়ানিতে একটু বেশি রায়তা চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। আর তা থেকেই মারামারি, হাতাহাতি… শেষে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। রবিবারের ওই ঘটনায় কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। কড়া পদক্ষেপ করেছে হায়দরাবাদ পুলিশও। বিরিয়ানির দোকানে হাতাহাতির ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি দুই পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল, তাঁদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছিল রবিবার রাতে। ঘড়িতে তখন প্রায় ১১টা। হায়দরাবাদের পাঞ্জাগুট্টা এলাকায় একটি নামী বিরিয়ানির দোকানে নিজের বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে গিয়েছিলেন লিয়াকৎ নামে বছর তিরিশের এক যুবক। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ওই যুবক ও তাঁর বন্ধুবান্ধবরা প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। সেই সময় বিরিয়ানির দোকানের এক কর্মীকে একটু বেশি রায়তা দেওয়ার জন্য বলেছিলেন লিয়াকৎ। কিন্তু ওই রেস্তরাঁর কর্মী তাতে রাজি ছিলেন না। আর এর থেকেই বচসার সূত্রপাত। লিকায়ৎ ওই রেস্তরাঁ কর্মীকে গালিগালাজও করেন বলে জানা যাচ্ছে। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং বচসা, কথা কাটাকাটি থেকে তা হাতাহাতি ও মারপিটে পরিণত হয়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরাও সেখানে পৌঁছে যান। লিয়াকৎ ও তাঁর বন্ধুবান্ধবদের সেখান থেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। লিয়াকতের শারীরিক অবস্থা তখন থেকেই খারাপ হতে শুরু করেছিল। সূত্রের খবর, লিয়াকৎ পুলিশকর্মীদের জানিয়েছিল তাঁর বুকে ব্যথা করছে। সেই কথা বলতে বলতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই যুবক। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক লিয়াকৎকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যুবকের দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।