হায়দরাবাদ: অটো করে যাতায়াত করতে অনেকেই অভ্যস্ত। অটো যেমন যাতায়াতের জন্য সাশ্রয়ী, তেমনই সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে যাওয়া যায়। কিন্তু এই অটোতেই ৫ মহিলার মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। অন্ধ্রপ্রদেশে এই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ৫ জন মহিলাই শ্রমিকের কাজ করেন। তাদিমারি ব্লকের চিল্লাকোন্দাইয়া পল্লী গ্রাম দিয়ে অটোটি যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দুর্ঘটনার সময় ওই অটোতে ১২ জন শ্রমিক ছিলেন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হাই-টেনশন তার অটোর ওপরে পড়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তাদিমারি থানার সাব ইনসপেক্টর ডি লক্ষ্মীনারায়ণ বলেন, “বিদ্যুতের তার পড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গোটা অটোটিতে আগুন লেগে গিয়েছিল। অটোতে থাকা চালক সহ অন্যান্য যাত্রী ঝাঁপ দিয়ে অটো থেকে নেমে পড়েন। বাকিদের আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছিল।” খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধার কাজ। স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। তাদিমারি থানার পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অটোতে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের অনেকের আঘাত লেগেছে এবং তাদের চিকিৎসার জন্য ধর্মাবরম সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
যদিও প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল অটোর রিকশায় থাকা একটি লোহার খুঁটি বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসেছিল বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীকালে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের খুঁটিতে থাকা কাঠবিড়ালির কারণেই বিদ্যুতের তারটি ছিঁড়ে গিয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশ দক্ষিণ পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হরিনাথ রাও জানিয়েছেন, কাঠবিড়ালির কারণে এই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমনকী কাঠবিড়ালিটিরও মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ এবং আহতদের ২ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশ সরকারও মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে।