প্রয়াগরাজ: সাতসকালেই ঘর থেকে গলগল করে বের হচ্ছিল ধোঁয়া। তা দেখেই পুলিশ ও দমকলবাহিনীকে খবর দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। কোনওমতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠল খোদ পুলিশও। দেখতে পেলেন রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভিতরে পড়ে রয়েছে পাঁচজনের মৃতদেহ (Murder)। এদিন সকালেই উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজ জেলায় একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবেই তাদের খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আততায়ীর হাত থেকে কোনও মতে রক্ষা পেয়েছে ৫ বছরের একটি শিশু।
উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ প্রয়াগরাজের খাওয়াজপুর এলাকায় একটি বাড়িতে আগুন লাগার খবর মেলে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাম কুমার যাদব (৫৫), তাঁর স্ত্রী কুসুম দেবী (৫২), তাদের কন্যা মনীষা (২৫), পুত্রবধূ সবিতা (২৭) ও নাতনি মিনাক্ষীর (২) মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তাদের অপর এক নাতনি সাক্ষী (৫)-কে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ওই দম্পতির ছেলে সুনীল (৩০) ঘটনার সময় বাড়িতে না থাকায় সেও বেঁচে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেকের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ভারী কোনও বস্তু দিয়েই তাদের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে ডগ স্কোয়াড ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদেরও। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করার জন্য সাতটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
UP | We received info about the incident at around 5.30 am. After reaching the spot,we found that a person named Rajkumar, his wife Kusum,daughter-in-law, daughter&granddaughter were found dead. Rajkumar's second granddaughter who is 5 years old is alive: Prayagraj SSP Ajay Kumar pic.twitter.com/U7uEDZApP5
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) April 23, 2022
জেলাশাসক সঞ্জয় কুমার ক্ষত্রি জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন সকালে ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ও দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তারা যাদব পরিবারের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। জানা গিয়েছে, যে ঘরে আগুন লেগেছিল, তার সামনে থেকেই ২ বছরের শিশু ও তাঁর মায়ের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে রাম কুমার যাদব ও তাঁর স্ত্রীর দেহ খাটিয়ার উপর পড়েছিল। যেই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তখনও তাঁরা জীবিত ছিলেন। খাটিয়ার একটু দূরেই পরে ছিল তাঁর মেয়ের দেহও।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, এখনও অবধি খুনের কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পারিবারিক শত্রুতা বা অন্য় কোনও কারণে হত্যা করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।