
লখনউ: ধ্বজা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে রামরাজ্যের সূচনা, দেশবাসীর উদ্দেশে এই বার্তা দিন দুয়েক আগেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অযোধ্যার বুকে সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে গিয়েছে রাম মন্দির। মন্দির কমিটি জানিয়েছে, নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ধ্বজা উত্তোলনের মধ্য়ে দিয়েই দেশবাসীর কাছে এই দিনকে স্মরণীয় করে রাখা হল। কিন্তু এই মন্দির তৈরিতে এখনও পর্যন্ত কতই বা খরচ হল? পাঁচটা বছর সময় তো লাগল, কিন্তু কতটা শ্রম বিনিয়োগ হয়েছিল?
শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সভাপতি নৃপেন মিশ্র সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, মূল মন্দিরের নির্মাণকাজ শেষ। তবে পারিপার্শ্বিক কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। মন্দিরের সীমানা এবং অডিটোরিয়াম তৈরির কাজও চলছে। যা ২০২৬ সালের মধ্য়ে শেষ হয়ে যাবে বলেই প্রত্য়াশা। এছাড়াও তিনি আরও জানিয়েছেন, রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজে এখনও পর্যন্ত ৩ হাজার কোটি টাকার অনুদান পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্য়ে ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
গত পাঁচ বছর ধরে চলছে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। দেশের অন্যতম আইআইটি-সহ উচ্চমার্গের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়াররা এই নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত গোটা মন্দির তৈরির কাজে নিয়োজিত থেকেছে ৪ হাজারের অধিক শ্রমিক। তাঁদের হাতেই ধীরে ধীরে রূপ পেয়েছে রাম মন্দির। এরপর ২০২৪ সালে উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের গর্ভগৃহ। ২০২৫ সালের ধ্বজা উত্তোলন।
মূল মন্দির-সহ আশপাশের এলাকা তৈরিতে ব্য়বহার হয়েছে বিরাট আকৃতির গ্রানাইট পাথর, মার্বেল। নির্মাণ কাজ চলাকালীন এই সকল উপকরণকে সামাল দেওয়া মোটেই সহজ কাজ ছিল না বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী দেবদত্ত ঘোষ জানিয়েছেন, ‘মাস ছয়েক ধরে ৫০-এর কম্পিউটার মডিউলেশন ব্যবহার করে এই মন্দিরের রূপ প্রদান করা হয়েছে। রাম মন্দির যাতে নির্দ্বিধায় ১ হাজার বছর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে পারে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে দিনের পর দিন গবেষণা চালানো হয়েছে। শুধুমাত্র মন্দিরের ভিত তৈরির জন্যই একাধিক বৈজ্ঞানিক মডেলের পরীক্ষা করা হয়েছে। তারপর শুরু হয়েছে কাজ।’