Stanford University: ৫,৩৫২ বিজ্ঞানী উজ্জ্বল করলেন ভারতের মুখ! গোটা বিশ্বে শোনা যাচ্ছে জয়ধ্বনি

Stanford University: গত বছরের তুলনায় সংখ্যাটা যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। বেশ কয়েকজন ভারতীয় বিজ্ঞানী নাম গতবারের তালিকাতেও ছিল। তাঁরা কয়েকজন নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছেন, আবার কয়েকজন আগের বছরের তুলনায় তালিকায় নিজেদের ক্রম আরও উন্নত করেছেন। বিশ্বব্যাপী গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ভারতের প্রভাব যে ক্রমে বাড়ছে, এটা সেই দিকেই নির্দেশ করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Stanford University: ৫,৩৫২ বিজ্ঞানী উজ্জ্বল করলেন ভারতের মুখ! গোটা বিশ্বে শোনা যাচ্ছে জয়ধ্বনি
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Getty Images

Sep 26, 2024 | 1:13 AM

নয়া দিল্লি: বিজ্ঞান জগতে ভারের জয়-জয়কার। এছাড়া আর কীই বা বলা যায়। প্রতি বছরই আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী-গবেষকদের একটি তালিকা তৈরি করে। এলসেভিয়ারের সহযোগিতায় এবারও তা প্রকাশ করেছে স্ট্যানফোর্ড। দেখা যাচ্ছে, সেই তালিকার প্রথম ২ শতংশ গবেষকদের মধ্যেই রয়েছে ৫,৩৫২ জন ভারতীয় বিজ্ঞানীর নাম। ২০২৩-এ এই ২ শতাংশর মধ্যে ভারতীয় ছিলেন ৪,৬৩৫ জন। গত বছরের তুলনায় সংখ্যাটা যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। বিশ্বব্যাপী গবেষণা এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ভারতের প্রভাব যে ক্রমে বাড়ছে, এটা সেই দিকেই নির্দেশ করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তালিকায় যে নামগুলি রয়েছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকজন ভারতীয় বিজ্ঞানী নাম গতবারের তালিকাতেও ছিল। তাঁরা কয়েকজন নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছেন, আবার কয়েকজন আগের বছরের তুলনায় তালিকায় নিজেদের ক্রম আরও উন্নত করেছেন। দেখে নেওয়া যাক এই বছরের র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা কিছু বিশিষ্ট ভারতীয় বিজ্ঞানীদের –

সুন্দীপ সালভি (কেইএম হাসপাতাল, পুনে) – ভারতের শীর্ষস্থানীয় শ্বাসযন্ত্রের বিজ্ঞানী হিসেবে তাকে তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।

চিত্তরঞ্জন যাজ্ঞিক (কেইএম হাসপাতাল, পুনে) – এই শীর্ষস্থানীয় ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডায়াবেটিসের উপর গবেষণার জন্য জায়গা পেয়েছেন।

প্রদীপ ফুকঁ (গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়)- রসায়নে তার অবদানের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছেন।

বিপন হাজারিকা (গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়)- গণিতে তার কাজের জন্য জায়গা পেয়েছেন।

রঞ্জিত ঠাকুরিয়া (গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়)- এই সহযোগী অধ্যাপককে জায়গা দেওয়া হয়েছে রসায়নে তাঁর অবদানের জন্য।

কৃষ্ণগোপাল ভট্টাচার্য (অসম ডন বস্কো বিশ্ববিদ্যালয়) – তাঁকেও রসায়নে তার কাজের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

এই র‌্যাঙ্কিংগুলি শুধুমাত্র এই সকল কৃতী বিজ্ঞানীদের ব্যক্তিগত সাফল্যই নয়, সেই সঙ্গে গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতামূলক মনোভাব এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থনের সাফল্যও বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞান ক্ষেত্রে ভারতের প্রভাব যে ক্রমে বাড়ছে, তার প্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে। শ্বাসযন্ত্রের বিজ্ঞান থেকে গণিত বা রসায়ন – বিজ্ঞানের সমস্ত ক্ষেত্রে দেশের গবেষকদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও উদ্ভাবনের একটি পাওয়ার হাউস হিসাবে উত্থান ঘটছে ভারতের।