নয়া দিল্লি: গত শনিবার ফাইভ জি (5G) পরিষেবার সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আপাতত দেশের বড় শহরগুলিতে এই পরিষেবা চালু হবে। জিও, এয়ারটেলের মতো সংস্থাগুলি এই পরিষেবা দেবে। জানা গিয়েছে, পরিষেবা শুরু হওয়ার পর গ্রাহকেরা ৬০০ এমবিপিএস স্পিডে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে। পেশাদার কম্পিউটারের মতো গতি থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের চার শহরে ফাইভ জি (5G) পরিষেবা দিতে শুরু করেছে রিলায়েন্স জিও। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা ও বারাণসীতে পরিষেবা দেবে জিও। আর এয়ারটেল পরিষেবা দেবে দিল্লি, মুম্বই, বারাণসী, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, নাগপুর, শিলিগুড়িতে। যাঁদের কাছে ফাইভ জি হ্যান্ডসেট আছে, তাঁরাই এই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সংস্থাগুলির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রাহকদের সিম কার্ড পরিবর্তন করার কোনও প্রয়োজন নেই।
গ্রাহকদের ১ গিগাবাইট গতির ইন্টারনেট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এরিকসন সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, পরিষেবা শুরু হওয়ার পর যেহেতু ট্রাফিক কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তাই ইন্টারনেটের গতি থাকবে বেশি। পরে পরিষেবা পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে ইন্টারনেটের গতি নেমে যেতে পারে ২০০ থেকে ৩০০ এমবিপিএসে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমে যে গতি থাকার কথা তাতে ৬ জিবির একটি সিনেমার ফাইল ডাউনলোড হতে পারে ১ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে আর ফোর কে সিনেমা ডাউনলোড হতে সময় লাগবে ৩ মিনিট। জানা গিয়েছে, গ্রাহকরা ফাইভ জি ফোন ব্যবহার করলে নেটওয়ার্ক সেটিংসে ফাইভ জি অপশন থাকবে। সেটা বেছে নিলেই এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।
বিএসএনএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনুপম শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, আশা করা হচ্ছে, ফাইভ জি পরিষেবা প্রাথমিকভাবে বিনামূল্য দেওয়া হবে। পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে তবেই ট্যারিফ প্ল্যান দিতে শুরু করবে অপারেটরগুলি।
পরিষেবা চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থা ফাইভ জি হ্যান্ডসেট বাজারে আনতে শুরু করেছে। ‘লাভা’-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দীপাবলি থেকে ফাইভ জি হ্যান্ডসেট বিক্রি শুরু করবে তারা। ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু হবে হ্যান্ডসেট। উচ্চগতির নেট ব্যবহার করলে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই হ্যান্ডসেট সংস্থাগুলিও ফোনের বৈশিষ্ট্যে কিছু বদল আনছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে যাতে দেশের সব প্রান্তে ফাইভ জি পরিষেবা পৌঁছে যায়, সেই লক্ষ্যমাত্রাই স্থির করেছে জিও, এয়ারটেল।